shono
Advertisement

Breaking News

নাসার চন্দ্রাভিযানে বড় দায়িত্বে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, কোয়াম্বাটুরের কন্যাকে নিয়ে গর্বিত দেশ

গুরুদায়িত্ব পালন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইঞ্জিনিয়ার সুবাসিনী আইয়ার।
Posted: 07:28 PM Jun 06, 2021Updated: 09:55 PM Jun 06, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বরাবরই জগৎসভায় সেরার আসনে। আবারও তার প্রমাণ মিলল নাসার (NASA) এক প্রকল্পের হাত ধরে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আগামী দিনে চাঁদে যে যান পাঠাতে চায় নভোচর-সহ, সেই মিশনের মূল দায়িত্ব ভারতীয় বংশোদ্ভুত কন্যা সুবাসিনীর। তাঁর হাত ধরে তৈরি হচ্ছে মূল পরিকল্পনা। কোয়েম্বাটুরের (Coimbatore) কন্যা এই ইঞ্জিনিয়ারের উপরই ভর করেই নাসার মিশন মুন বা জোড়া আর্টেমিস প্রকল্পের মূল ভিত তৈরি হবে। এহেন গুরুদায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই খুশি সুবাসিনী। বলছেন, ”শেষ ৫০ বছর চাঁদে পা রেখে মানুষ থমকে গিয়েছিল, আবার তাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।”

Advertisement

চাঁদের (Moon) অন্ধকার দিক সম্পর্কে জানতে শেষ বড় উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতের ইসরো। পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান – ২। কিন্তু তা চন্দ্রপৃষ্ঠে পুরোপুরি অবতরণের আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে অভিযান সাফল্যের মুখে দেখেনি। তারপর আর কোনও দেশই সেভাবে চন্দ্রাভিযানে অংশ নেয়নি। তবে পরিকল্পনা রয়েছে বহু দেশের। নাসার মতো সংস্থা আরও দু’ধাপ এগিয়ে জোড়া চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত – আর্টেমিস (Artemis) ওয়ান এবং আর্টেমিস টু। আগামী তিন বছরের মধ্যে দুটিই বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। প্রথমটি শুধুমাত্র যান পাঠানো আর দ্বিতীয় মিশনে ২ নভোচরকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। আর এই জোড়া চন্দ্রাভিযানেই গুরুত্ব পাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রযুক্তিবিদ সুবাসিনী আইয়ার। আর্টেমিস প্রকল্পের মূল ভিত্তি দাঁড়িয়ে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এবং ওরিয়ন রকেটের উপর। সুবাসিনী স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রকট হচ্ছে প্রকৃতির রোষ, জলবায়ুর পরিবর্তনে ঘনিয়ে আসছে দুর্দিন]

সুবাসিনী আইয়ার। জন্ম তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। তারপর বাবা, মায়ের হাত ধরে মার্কিন মুলুকে পাড়ি। সেখানেই পড়াশোনা, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ ও কেরিয়ার শুরু। নিজের কলেজে সুবাসিনীই প্রথম মহিলা, যিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক হন। মেধার ঝলক তখনই বোঝা গিয়েছিল। এবার তার স্বপ্ন পূরণের পথে। নাসার চন্দ্রাভিযানেএত বড় ভূমিকা পালন। সুবাসিনী মূলত কাজ করবেন স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch system)নিয়ে। তাঁর কথায়, ”এই প্রকল্পের গোটা পরিকল্পনা অর্থাৎ ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাই আমি পালন করব। নাসার হাতে তা যথাযথভাবে তুলে দিতে পারলেই সব সার্থক হবে।” নাসার চন্দ্রাভিযানে ভারতকন্যার গুরুদায়িত্বের খবরে স্বভাবতই খুশির হাওয়া বিজ্ঞানী মহলে। তাঁর কৃতিত্বে অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন, আগামী দিনের সাফল্যের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বহুজন।

[আরও পড়ুন: সূর্যকে টেক্কা দিচ্ছে চিনের ‘কৃত্রিম সূর্য’! সৌরকেন্দ্রের চেয়েও বেশি উত্তাপে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement