সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মানবাধিকারের প্রশ্নে ভারতকে তোপ দেগেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চেই তার পাল্টা দিল ভারত। দিল্লির তরফে বলা হয়েছে, যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জঘন্য, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই তাদের।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (UN Human Rights Council) ৫৫তম অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধি অনুপমা সিং জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রচারে পরিষদের অপব্যবহার হচ্ছে। অনুপমার বক্তব্য, “ভারত সম্পর্কে পাকিস্তান যে মন্তব্য করছে, সেই সূত্রে বলব, এটা দুঃখজনক যে পরিষদের প্ল্যাটফর্মকে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ব্যবহার করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ২০১৪-র ভোটে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে ‘গরমিল’! অরূপ বিশ্বাসকে তলব ইডির]
পাকিস্তানের মানবাধিকার নিয়ে কটাক্ষ করেন নয়াদিল্লির প্রতিনিধি। জানান, পাকিস্তানের মানবাধিকার রেকর্ড ভয়ংকর। নির্দিষ্ট উদাহরণও দেওয়া হয় ভারতের তরফে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সে দেশের জরানওয়ালা শহরে ১৯টি চার্চের উপরে হামলা হয়। ধ্বংস করা হয় ধর্মীয় স্থানগুলিকে। সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৮৯টি বাড়ি পোড়ানো হয়েছিল। “একটি দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয় মদতে সংখ্যলঘু নিপীড়ন চলে, মানবাধিকারের লঙ্ঘনের জঘন্য রেকর্ড রয়েছে, তারা ভারত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, যে ভারত অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নজির সৃষ্টি করেছে। অতএব, পাকিস্তানের অভিযোগ কেবল বিদ্রূপাত্মক নয় বরং বিকৃত। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়েও ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় ভারতের তরফে।