সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল দেশের জিডিপি। তারপর শুরু হয়েছে আনলক। আশা ছিল আনলক পর্বে অন্তত ঘরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। কিন্তু সে গুড়ে বালি। রিজার্ভ ব্যাংকের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকেও সম্ভবত বৃদ্ধির বদলে সংকুচিতই হতে চলেছে জিডিপি (GDP)। তাও আবার ৮.৬ শতাংশ। যার অর্থ ইতিহাসে এই প্রথমবার সরকারিভাবে মন্দায় প্রবেশ করবে ভারত।
মানিটারি পলিসির দায়িত্বে থাকা রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রর নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকেও দেশের জিডিপি ৮.৬ শতাংশ সংকুচিত হতে চলেছে। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, “ভারত ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে টেকনিক্যাল রিসেশন অর্থাৎ মন্দায় প্রবেশ করেছে।” যদিও সরকারিভাবে রিপোর্টটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ২৭ নভেম্বর তা প্রকাশিত হওয়ার কথা। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিজেদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। আর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেটিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, “ইতিহাসে প্রথমবার মন্দা শুরু হল দেশের অর্থনীতিতে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপ ভারতের আসল শক্তিকেই তার দুর্বলতায় পরিণত করেছে।”
[আরও পড়ুন: বিহার আছে বিহারেই! সদ্য জয়ী বিধায়কদের ৬৮ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর জন্য মূলত রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারকে। অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী সে অর্থে বিশেষ কোনও কার্যকরী নীতিই গ্রহণ করতে পারেননি। কেন্দ্র যে তথাকথিত প্যাকেজের কথা বলছে, সেটি মুলত ঋণ সর্বস্ব। যার সুবিধা সরাসরি সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। আর সাধারণ মানুষ সরাসরি সুবিধা না পেলে আর যাই হোক অর্থনীতির দৈন্যদশা যে ঘুচবে না। তবে দেরিতে হলেও সম্ভবত বোধদয় হচ্ছে সরকারের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃতীয় বড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র।