সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে নেপালে। গত শুক্রবারই সংসদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। এই পরিস্থিতিতে অকাল নির্বাচন পথেই হাঁটতে হচ্ছে নেপালকে (Nepal)। পড়শি দেশের এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলল ভারত (India)। সেদেশের বর্তমান অবস্থার দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। তবে এই পুরো বিষয়টিই নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনটাই মন্তব্য করল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে পৌঁছেছে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশটিতে। ভেঙে গিয়েছে সরকার। ইস্তফা দিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। যা পরিস্থিতি তাতে আগামী নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে হতে পারে নেপালের সাধারণ নির্বাচন। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে চিন যখন নেপাল সীমান্তের একাধিক জায়গায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। সেখানে ভারত কিন্তু পাশেই দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশি দেশের। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখলেও, এটি নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনটাই বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “নেপালের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। তবে আমাদের মনে হয়, এটা নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এবং তাঁদের নিজস্ব নিয়মানুযায়ী নেপালই আশা করি বিষয়টির মোকাবিলা করবে। প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারত সবসময় নেপাল এবং সেদেশের জনগণকে প্রগতি, শান্তি, স্থিরতা এবং উন্নয়নের যাত্রায় সমর্থন জানাবে।”
[আরও পড়ুন: বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউস, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বাইডেন]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পরাজিত হন ওলি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতির দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপালি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের ওলিকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সময় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার তোড়জোড় করছিল বিরোধী দলগুলি। ফলে নিজের পিঠ বাঁচাতে তড়িঘড়ি ভোটের ঘোষণা করে দিলেন ভাণ্ডারী, এমনটাই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের।