সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত। মার্কিন ফৌজের সঙ্গে এবার সামরিক মহড়ায় শক্তিপ্রদর্শন করছে ভারতের সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান পসাইডন (Poseidon-8I)।
[আরও পড়ুন: পাক সেনাকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে চিন, CPEC প্রকল্প নিয়ে ইমরানের কাছে নালিশ আমলাদের]
জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ থেকেই গুয়ামে শুরু হয়েছে ‘সি ড্রাগন’ মহড়া। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ওই মার্কিন ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল উপস্থিত রয়েছে। জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও ভারত ছাড়াও এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে জাপান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সাবমেরিন যুদ্ধের কৌশল আরও ঝালিয়ে নেওয়া। কীভাবে ডুবোজাহাজ থেকে প্রতিপক্ষের নৌবাহিনীর উপর হামলা চালানো হবে? কোন পদ্ধতিতে নিজেদের যুদ্ধজাহাজগুলিকে রক্ষা করা আরও সহজ হবে? এসব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। তারপর হাতেকলমে সেই কৌশল ঝালিয়ে দেখা হচ্ছে সমুদ্রের বুকে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে ভারতের সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান Poseidon-8I। বিশাল চিনা নৌবাহিনীকে নিশানায় রেখেই ভারত এই পদক্ষেপ করেছে বলে মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। কারণ, Poseidon-8I বিমানগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার। বিমানগুলিতে রয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হালকা ওজনের টর্পেডো ও ডেপথ চার্জ (সাবমেরিন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়)। শক্তিশালী রেডিও সিগনালের মাধ্যমে যা কিনা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ, দুই-ই ধ্বংস করতে সক্ষম। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালিতে রয়েছে একটি P-8I squadron। সম্প্রতি লাদাখে চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলাকালীন এই বিমানের মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হয়। ২০১৭ সালে ডোকলামে দুই দেশের বাহিনী যখন মুখোমুখি অবস্থান করছিল, সেইসময়ও নামানো হয় এই বিমান।