সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে দাপাচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস তথা এইচএমপিভি। তাহলে কি করোনার পর নতুন মহামারীর প্রাদুর্ভাব হবে? নেটদুনিয়া তোলপাড় এই প্রশ্নে। আশঙ্কা, এবার কি ভারতেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে ওই ভাইরাস? এবার এই নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র।
'ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল'-এর তরফে ড. অতুল গয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে এই ভাইরাসে কেউই সংক্রমিত হননি এখনও। তাঁর দাবি, এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটানো ভাইরাস। যা শরীরে সাধারণ সর্দিকাশির সৃষ্টি করে। শিশু ও বয়স্কদের শরীরে এর ফলে ফ্লু-এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়ে সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করতে। কারও ঠান্ডা লাগলে তিনি যেন অন্যদের খুব কাছাকাছি না যান। এবং সর্দি লাগলে সাধারণ ওষুধ খেলেই যথেষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু যদি আচমকাই এই ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়? করোনা আমলে হাসপাতালে বেডের অপ্রতুলতা ও অন্যান্য সমস্যার কথা কেউই ভোলেননি। কিন্তু ড. গয়াল সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, শীতকালে এমনিতেই এই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে। আর সেজন্য দেশের হাসপাতালগুলি প্রস্তুত থাকে।
প্রসঙ্গত, সোশাল মিডিয়ায় গুঞ্জন, চিনে নাকি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিড় জমছে হাসপাতাল ও কবরখানায়! কিন্তু সরকারি ভাবে এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি। মূলত ফুসফুসে হানা দিচ্ছে এই ভাইরাস। বাড়ছে নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাং। কেবল ওই ভাইরাসই নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়াও বাড়ছে। এবং গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিড ভাইরাসেও। সোশাল মিডিয়ায় নানা ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সব ভিডিওয় হাসপাতালে ভিড় করা মানুষের অসহায় অবস্থান দেখলে আতঙ্ক জাগে। যদিও এই ধরনের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। আর এই ভিডিও ঘিরেই শুরু হয়েছে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র।