সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে দাউ দাউ জ্বলছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত সোমবার রাজাপক্ষেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দেশজুড়ে সংঘর্ষের ছবি। এই পরিস্থিতিতে কি প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াবে ভারত? সেনা পাঠাবে কলম্বোয়? এমন গুঞ্জন ক্রমশই জোরাল হচ্ছিল মঙ্গলবার থেকে। কিন্তু বুধবারই শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ভারত যে শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র, স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে পুরোপুরি পাশে রয়েছে, তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে রাজাপক্ষে ও অন্যান্য রাজনীতিবিদরা প্রাণ বাঁচাতে দেশছাড়া হয়ে আশ্রয় নিতে পারেন ভারতে। ভারতীয় দূতাবাস এই গুঞ্জনও উড়িয়ে দিয়েছে। তবে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়ে দিয়েছেন, ”ভারত সব সময়ই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার জনতার কল্যাণের পক্ষে থাকবে।”
[আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল কলেজ সার্ভিস কমিশন, জেনে নিন আবেদনের শেষ তারিখ]
ইতিমধ্যে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে চেক পয়েন্ট তৈরি করে ফেলেছে। উদ্দেশ্য, যাতে কোনও ভাবেই রাজাপক্ষে বা তাঁর পরিবারের কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। যদিও কলম্বোর আকাশে অনেক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গিয়েছে। যা দেখে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, আকাশপথেই দেশ ছাড়ছেন রাজাপক্ষের পরিবার ও অন্যরা।
রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়া শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি শোধরাতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বুধবারই শাসক দল ও প্রধান বিরোধী দল এসজেবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। দীর্ঘ সময় ধরে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতার পরে বুধবারের বৈঠকে কোনও সমাধানের সূত্র বেরিয়ে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।
উল্লেখ্য, সোমবারই পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে। কিন্তু এরপরও ক্রমশই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। বন্দর শহর হামবানটোটায় রাজাপক্ষেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। এযাবৎ কলম্বো ও দেশের অন্য প্রান্তে সংঘর্ষে আড়াইশোর উপরে মানুষ আহত হয়েছেন। দেশজুড়ে কারফিউ। নামানো হয়েছে সেনা। কেবল রাজাপক্ষের বাড়িই নয় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংসদ সনৎ নিশান্ত, মহীপাল হেরাথ, নিমাল লাংজা, রমেশ পথিরানা ও মোরাতুয়ার মেয়র সমন লালের বাড়িতেও।