সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই দেশজুড়ে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমন আশঙ্কার কথা আগেই শুনিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তা মোকাবিলায় আগেভাগেই কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকেও বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে আরও টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে দেশে দৈনিক সংক্রমণ তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভাইরাস নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৩ হাজার ৩৭৬ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা কম। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রাখছে কেরলের পরিস্থিতি। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ৮ হাজার ৩৩০। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা বলি ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১৭ জন।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে কমতে পারে রান্নার তেলের মূল্য! দাম নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের]
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ সামান্য কমলেও ফের উদ্বেগ বাড়াল ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৫১৬ জন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৯৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ১৯৮ জন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। ১৮ শতাংশের বেশি নাগরিকের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৭৩ কোটি ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখন ভ্যাকসিনের আওতায়। যার মধ্যে গতকালই টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬৫ লক্ষের বেশি নাগরিক। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ১৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।