সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন বলিউডের সিনেমার স্ক্রিপ্ট। জেল থেকে বেরিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় পুর ভোটের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার! পুণের এই দুষ্কৃতীর নাম বান্দু আন্দেকর ওরফে সূর্যকান্ত। মনোনয়ন জমা দেওয়ার এই অভিনব ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)।
জানা গিয়েছে, নাতি আয়ুষ কুমার নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে বন্দি রয়েছেন একা বান্দু নয়, তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্য। অন্যেরা হলেন বৌদি লক্ষ্মী উদয়কান্ত আন্দেকর, পুত্রবধূ সোনালি বনরাজ আন্দেকর। সকলেই পুণের পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে জেল থেকেই আবেদন করেন। বিশেষ আদালত শর্তসাপেক্ষে সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। এরপরেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গটি এসে পড়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পরনে সাদা ফুলহাতা শার্ট, কালো ট্রাউজার। মুখ ঢাকা কালো কাপড়ে, দু’হাতে দড়ি বাঁধা। প্রিজন ভ্যান থেকে তাঁকে নামানো হচ্ছে বান্দুকে। আদালত সভা করার অনুমতি না দিলেও প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে 'প্রচারের কাজ' শুরু করে দেন গ্যাংস্টার। চিৎকার করে স্লোগান দেন, ‘‘ভালো কাজ মানেই আন্দেকর। ভোট ফর আন্দেকর’’। মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢোকার সময় ‘ভিকট্রি সাইন’ও দেখান তিনি।
ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে পুণে পুরসভার ভবানী পেট ওয়ার্ড অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বান্দুকে। নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বান্দু, তাঁর বৌদি এবং পুত্রবধূ। যদিও ওই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে কিছু কারণে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তাঁরা। আদালত বা পুলিশ কি তাঁকে সেই সুযোগ দেবে?
উল্লেখ্য, বান্দু পরিচিত গ্যাংস্টার হলেও পরিবারটির রাজনীতি যোগ পুরনো। তাঁর দুই ভাই উদয়কান্ত এবং রমাকান্ত পুণে পুরসভার কাউন্সিলর। ১৯৯৮ সালে আন্দেকর পরিবারের এক সদস্য বৎসল আন্দেকর পুণের মেয়র হন। বান্দুর স্ত্রী রাজশ্রী আবার ২০০৭ এবং ২০১২ সালে পুরসভার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ভারতে রাজনীতিতে অপরাধীদের প্রবেশের শুরু গত শতাব্দীর সাতের দশকে। নয়ের দশক থেকে তা বাড়তে থাকে। সেই সময়েই রাজনীতিতে যুক্ত হয় আন্দেকর পরিবার।
