সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) বারবার পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। গত জুনেই ভেস্তে গিয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি আবদুল রহমান মক্কিকে নিষিদ্ধ করার ভারত ও আমেরিকার যৌথ প্রয়াস। এই প্রসঙ্গে ফের বেজিংকে খোঁচা দিল ভারত। মঙ্গলবারই নয়াদিল্লির তরফে নাম না নিয়েও শি জিনপিংয়ের দেশকে কটাক্ষ করে বলা হয়, যেভাবে চিন ভয়ংকর জঙ্গি নেতাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এবং এর থেকে চিনের দ্বিচারিতাই স্পষ্ট হয় বলে ইঙ্গিত ভারতের।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ মঙ্গলবার এবিষয়ে মুখ খোলেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিল চিনই। কিন্তু সেখানেই নাম না করে বেজিংকে খোঁচা রুচিরার। তিনি বলেন, ”নিষেধাজ্ঞা কমিটিগুলিকে কার্যকর করে তুলতে তাদের আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উদ্দেশ্যমূলক হতে হবে।” কোনও ন্যায্য কারণ ছাড়াই যেভাবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাও এবার শেষ হওয়া দরকার বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আগেই মিলেছিল ভাঙনের আঁচ, তবুও নীতীশ কুমারকে কেন আটকাল না বিজেপি]
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু বাধা দেয় চিন। মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। পাকিস্তানে (Pakistan) আল কায়দার ‘স্লিপার সেল’গুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে মক্কি। সবমিলিয়ে তাকে বাগে আনতে পারলেই অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়বে লস্কর। আর সে জন্যই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘আইএস অ্যান্ড আল কায়দা স্যাংশনস কমিটি’র কাছে আবদুল রহমান মক্কিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাব পাশ হয়নি।
অতীতেও এমন করেছে চিন। যদিও ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘে বড় কূটনৈতিক জয় হয় নয়াদিল্লির। প্রায় এক দশকের চেষ্টার পর পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। কিন্তু আবদুল রহমান মক্কির মতো জঙ্গির ক্ষেত্রে সাফল্য আসেনি মূলত চিনের জন্য়ই। আর সেই কারণেই ফের বেজিংকে কাঠগড়ায় তুলল নয়াদিল্লি।