স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় সাড়ে ছ’মাস পর দলে ফিরে ভারতীয় পেসার দীপক চাহার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, চোট-আঘাত, দীর্ঘদিন ভারতীয় সংসারের বাইরে থাকা, দিনের পর দিন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির জীবন, যা-ই করে থাকুক, একটা জিনিস করতে পারেনি। তাঁর বোলিং থেকে সুইংয়ের ‘বিষদাঁত’ উপড়ে নিতে পারেনি। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট তুলে নেন চাহার। মাত্র ২৭ রান দিয়ে। এখানে বলে রাখা ভাল, প্রথম ওয়ানডে-তে টানা সাত ওভার বল করেছেন চাহার। এটা বুঝিয়ে যে তিনি সম্পূর্ণ ফিট।
তবে চাহার নিজেকে প্রমাণ করে দিলেও কেএল রাহুলের কী অবস্থা, এখনও স্বচক্ষে দেখা বা বোঝা যায়নি। কেএল রাহুলও লম্বা সময় পর জাতীয় দলে (Team India) ফিরেছেন। সেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন রাহুল, তার পর এই প্রথম মাঠে নামলেন তিনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ভারত ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যাওয়ায় রাহুলকে আর ব্যাট করতে হয়নি। এই অবস্থায় আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে যুদ্ধে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে নামছে ভারত। যেখানে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি রাহুল (KL Rahul) কেমন করেন, সেদিকেও নজর থাকবে।
[আরও পড়ুন: ফের জাতীয় স্তরে সেরার শিরোপা, পুরস্কৃত ‘দুয়ারে সরকার’-সহ বাংলার ৪ প্রকল্প]
এমনিতে ভারতীয় শিবির ফুরফুরেই রয়েছে। প্রথম ম্যাচ শেষে ভারতীয় বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন দীপক চাহারের। চাহার এবং অক্ষর- দু’জনেই তিন উইকেট করে নিয়েছেন প্রথম ওয়ানডেতে। সেই সাক্ষাৎকারে ভারতীয় পেসার বলছিলেন, “সাড়ে ছ’মাস পর ভারতীয় জার্সিতে আবার নামলাম। গত ছ’মাসে প্রতিদিন অধীর অপেক্ষা করেছি কবে নামব দেশের হয়ে, কবে খেলব ক্রিকেট? নিজের কামব্যাক নিয়ে ভেবে গিয়েছি সব সময়।”
খেলা শেষে প্রচুর ভারত সমর্থক মাঠে অপেক্ষা করছিলেন দীপকের জন্য। তাঁকে দেখা যায়, গ্যালারির কাছে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে হাত মেলাতে, দাঁড়িয়ে দেদার সেলফি তুলতে। পরে দীপক বলছিলেন, “দর্শকরাই তো আমাদের শক্তি। কোভিডের (COVID-19) সময় ওঁরা মাঠে আসতে পারতেন না, আমরাও সেই উত্তেজনাটা টের পেতাম না। কিন্তু এখন আবার সেই উত্তেজনাটা টের পাচ্ছি। দর্শকরাই তো প্রাণ।” ভারত আজ সিরিজ জিতলে যে সেই প্রাণের স্পন্দন আরও বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগের দিনের দল নিয়েই নামবেন অধিনায়ক রাহুল।
[আরও পড়ুন: এএফসি কাপে মোহনবাগানকে খেলার অনুমতি দেওয়া হোক, ফিফার দ্বারস্থ কেন্দ্র]
এদিকে, প্রায় পাঁচ বছর পর আইসিসির কাছ থেকে ‘স্বাধীনতা’ পেল জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট। আসলে নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা সদস্য দেশ আইসিসির থেকে একটা অনুদান পায়। অনুদানের পরিমাণটা বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আইসিসি জিম্বাবোয়কে সরাসরি অনুদান দিত না। ওই দেশের ক্রিকেটে এতটা অস্বচ্ছতা ছিল যে আইসিসির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটকে নিজেদের থেকে খরচ করতে হবে। তারপর সেই খরচের হিসাব আইসিসিতে জমা দিতে হবে। সেই হিসাবপত্র আইসিসি (ICC) আবার অডিট করে দেখত সেগুলো যথাযথ কি না। তারপরই সেই অনুদান পাঠানো হত। গত ৫ বছর ধরে এভাবেই চলে আসছিল। তবে এবারের বার্মিংহ্যামের আইসিসি বৈঠকে ঠিক হয় জিম্বাবোয়েকে ইনডিপেন্ডেন্ট ঘোষণা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাদের আর খরচের হিসাব আগে পাঠাতে হবে না।
আজ টিভিতে:
ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে
হারারে স্পোর্টস ক্লাব, দুপুর ১২.৪৫
সোনি