সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মরশুমে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে চলেছে উত্তর ভারতে (Northern India)। অন্যান্য বছরের চেয়ে এই শীতের মরশুমে গড় তাপমাত্রা কমবে অন্তত ৩ ডিগ্রি। এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা। তাদের কথায়, লা নিনার প্রভাবেই এবার কনকনে ঠান্ডার আমেজ পেতে চলেছে দেশবাসী।
আবহাওয়া সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সংস্থা ডিটিএনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেন্নি ভেন্ডওয়েগে বলেন, “এবারের মরশুমে গোটা উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে ওই মরশুমের শক্তি খরচ কম হবে।” তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুধু উত্তর ভারত নয়, জাপান, চিন, কোরিয়াতেও এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি শীতল হতে চলেছে শীতকাল। তাপমাত্রা সবচেয়ে কম হতে পারে নতুন বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে।
[আরও পড়ুন: বারবার ধস নেমে বিপর্যস্ত পাহাড়, জলবায়ু বদলের জেরে বিপন্ন তুষারচিতার দল]
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, নিরক্ষীয় বায়ুর প্রভাবে সমুদ্রের গভীর থেকে শীতল স্রোত তৈরি হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরে ইতিমধ্যে এই স্রোত দেখা দিয়েছে। যার জন্য উত্তর নিরক্ষীয় অঞ্চলের উষ্ণতা কমতে শুরু করে। এবার সেই লা নিনা-র প্রভাবেই জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা। ইতিমধ্যে পূর্বাভাস দিয়েছে একাধিক হাওয়া অফিস।
এদিকে আলিপুর হাওয়া অফিস বলেছে বঙ্গে আসতে চলেছে শীত। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যে হালকা শীতের আমেজ। কোথাও কোথাও সামান্য কুয়াশাও দেখা যায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাতে ও সকালের দিকে হালকা শীতের আমেজ বজায় থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বেশি অনুভূত হবে। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে বিস্ফোরণ! জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চমকে উঠলেন আলোর ঝলকানি দেখে]
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। দু-এক পশলা ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাতের তাপমাত্রা কমবে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১.৮ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে খুবই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।