সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানকে (Taiwan) ঘিরে চিনের সামরিক মহড়া প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী দু’পক্ষকেই সংযত হয়ে থাকতে বার্তা দিয়েছেন। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যেন বজায় থাকে, সেদিকে নজর রাখার জন্য দুই পক্ষকেই অনুরোধ করেছে ভারত। অন্যান্য দেশগুলির মতোই সামরিক মহড়া নিয়ে চিন্তিত ভারতও, জানিয়েছেন অরিন্দম। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা (China) নৌবাহিনীর ছ’টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ২১টি চিনা যুদ্ধবিমানও তাইওয়ান প্রণালীর উপরে ঘুরছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “আমরা দু’পক্ষের কাছেই আবেদন করছি, তারা যেন নিজেদের সংযত রাখে। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে কোনও একটি পক্ষ যেন আগ্রাসী না হয়। আমরা আশা করব, ওই অঞ্চলে উত্তেজনা না ছড়িয়ে শান্তি বজায় রাখা হোক।” চিনের সঙ্গে ভারতের (India) সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন বাগচী। তিনি বলেছেন, বরাবরই পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপরে ভিত্তি করে এগিয়ে গিয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। সেই কথা সকলেই জানে, বারবার বলার দরকার নেই।”
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার মুহূর্তেও টুকরো টুকরো ছিল ভারত! অন্যরকম হতে পারত মানচিত্র, এই ইতিহাস জানেন?]
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তাইওয়ান প্রণালী সংলগ্ন এলাকা। তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে লাগাতার সামরিক মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। এমনকি জাপানের সমুদ্রেও আছড়ে পড়ে চিনা মিসাইল। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও মহড়া থামায়নি বেজিং। বরং নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও মহড়া চালিয়ে গিয়েছে চিন। তার উপরে তাইওয়ানে সেনা না পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে চিন।
পেলোসির সফর শুরু হওয়ার আগেই চিনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, এই কাজের ফল ভুগতে হবে তাইওয়ানকে। মার্কিন স্পিকারের সফরের ফলে চিনা অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত লেগেছে বলে জানানো হয়েছিল। সমস্ত হুংকার উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে পা রেখেছিলেন পেলোসি। তাঁর বিদায়ের পরেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চিন। জল এবং আকাশপথে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে মহড়া চালায় লালফৌজ। পালটা দিতে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাইওয়ানও।