সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে প্রথমবার রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাষ্ট্রসংঘের (UN) অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে সভায় বক্তৃতা দিতে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটি হয়। বুধবারের সেই ভোটাভুটিতে প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে মতামত জানাল ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনে হামলা সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ভারত। প্রথমবার নিজেদের অবস্থান বদল করল নয়াদিল্লি।
২৪ আগস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলেনস্কিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি বক্তব্য পেশ করতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টি নিয়েই ভোটাভুটি শুরু হয়। স্বভাবতই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় রাশিয়া। বরাবরের অবস্থান বজায় রেখে ভোটদান থেকে বিরত থাকে চিন। পনেরো সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ভারত-সহ তেরোটি দেশ। কিন্তু প্রথমবার প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেল ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ভারতের তরফে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় জোড়া বন্দুকবাজের হানা, স্কুল চত্বরে চলল গুলি, মৃত অন্তত ৩]
রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধন করুক, এমনটাই বরাবর বলা হয়েছে। তাহলে কেন হঠাৎ রাষ্টসংঘে রুশ বিরোধী অবস্থান নিল ভারত? প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) অস্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারতের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। আগামী ডিসেম্বরেই নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হবে ভারতকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার কারণে ভারতের উপরে বেশ ক্ষুব্ধ পশ্চিমি দেশগুলি। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, পশ্চিমি দেশগুলির সুনজরে থাকতেই হয়তো নতুন কৌশল নিচ্ছে ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে রুশ আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ করে বার্তা দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের উপরেই নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নিরাপত্তা। রাশিয়াকে যদি এখনই না আটকানো যায়, তাহলে অন্য দেশেও হত্যালীলা চালাবে ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসেই সেদেশে বড়সড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একটি রেল স্টেশনে রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের।