সুকুমার সরকার, ঢাকা: অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ছমাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। আজ, শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নয়াদিল্লি। এই খবরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও ক্রেতামহলে খুশির হাওয়া বইছে। কেন না পবিত্র ইদুল ফিতরে প্রতি কেজি দেড়শো টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। যা নিয়ে ক্রেতারা একদমই খুশি ছিলেন না। আগামী ১৭ জুন ইদুল আজহা পালিত হবে। তার আগে এই খবর স্বস্তিতে সকলে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরটি প্রকাশ করেছে। অবশ্য শুধু বাংলাদেশই নয়, পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হওয়ায় খুশি। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম সহনীয় রাখতে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। ওই দিন থেকেই মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলার প্রধান চারটি পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কেনা-বেচা বন্ধ করে দেন কৃষকরা। সেই সময় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ চাষিরা। গত অক্টোবরে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) পেঁয়াজের গড় দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল ২ হাজার ২২০ টাকা। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন রপ্তানি নিষেধজ্ঞা জারির পর থেকে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকাতে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
[আরও পড়ুন: ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে পাড়ি, ভূমধ্যসাগরে মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত্যু ৮ বাংলাদেশির!]
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও মরিশাস-সহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু তাদের সেই আন্দোলন তুড়ি মেরে এপ্রিল মাসে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। গত কয়েকমাস ধরেই বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। ফলে বাজারে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। ফলে ফের থেকে ভারত থেকে পুরোপুরিভাবে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় এর দাম কমার আশা করছেন সকলে।