সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচনের তোড়জোড়। চলতি বছরের শেষের দিকেই শুরু হতে পারে ভোটযুদ্ধ। লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক-বিরোধী উভয়েই। এই প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের উৎসবে ‘পাশে থাকবে ভারত’ বলেই বিশ্বাস আওয়ামি লিগের।
আওয়ামি লিগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৯ আগস্ট ভারত সফর করে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ভারতের শাসকদল বিজেপির আমন্ত্রণেই এই সফরসূচি নেয় বাংলাদেশের শাসকদল বলে খবর। বৃহস্পতিবার এই সফর নিয়ে আওয়ামি লিগের ধানমান্ডি কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে আবদুর রাজ্জাক বলেন, “ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়।” ইঙ্গিতে ভারতা তাদের পাশে দাঁড়াবে বলেই জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই ভারতে হাাসিনা, চিনা চাল ভেস্তে নতুন পথে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক]
সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষনেতা ও ভারত সরকারের উচ্চপদস্থরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন। এক্ষেত্রে, মার্কিন ভিসা নীতি, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা-সহ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের বিষয়গুলিও আলোচনায় এসেছে।
নয়াদিল্লিকে আওয়ামি লিগের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের জমিতে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চলতে দেওয়া হবে না। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় থাকায় জামাত-ই-ইসলামি, বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় না থাকলে পাকিস্তানের প্রভাব আবার বেড়ে যাবে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ভারতের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারাও তা স্বীকার করেছেন বলে লিগের নেতারা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশে পুড়ল কোরান, প্রতিবাদে পথে জনপ্লাবন]
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারে মরিয়া চিন ও পাকিস্তান। যে কোনও মূল্যে ঢাকাকে কবজা করে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার ছক কষছে পড়শি দেশগুলি। এই প্রেক্ষাপটে শি জিনপিং প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে সেপ্টেম্বরেই ভারতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি ভালই জানে, খালেদা জিয়ার পাকিস্তানপন্থী দল বিএনপি ক্ষমতায় ফিরলে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে।