সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গল্পের শুরুটা ১৩ বছর আগে। রাস্তায় পড়ে থাকা মাত্র তিনদিনের শিশুকে বুকে তুলে নিয়েছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি। প্রায় দেড় দশক বাদে পালিতা মাকে খুন করে মাতৃদুগ্ধের দাম চোকাল সেই মেয়ে! তাও দুই প্রেমিকের প্ররোচনায় মাকে খুন করল সে। ঠান্ডা মাথায় খুনের ১৫ দিন পর অবশেষে পুলিশের জালে কিশোরী ও তার দুই প্রেমিক।
ওড়িশার গজপতি জেলার পরলাখেমুন্ডি শহরে ঘটনা। ২৯ এপ্রিল ৫৪ বছরের রাজলক্ষ্মী করের মৃত্যু হয়। তাঁর মেয়ে ও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজলক্ষ্মী করের। ভুবনেশ্বরে আত্মীয়দের সামনেই শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়। কিন্তু কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! ঠিক তেমনটাই হল এক্ষেত্রে। বাড়িতে মোবাইল ফেলে এসেছিল রাজলক্ষ্মীর কিশোরী মেয়ে। সেটি তার মামা শিবপ্রসাদ মিশ্রর হাতে পড়ে। সন্দেহ হতেই কিশোরীর ইনস্টাগ্রাম খোলেন তিনি। আর তাতেই পর্দাফাঁস।
জানা যায়, ১৩ বছরের কিশোরীর দুই যুবক-২১ বছরের গণেশ রাঠ এবং ২০ বছরে দীনেশ সাহুর প্রেমে পড়েছিল। কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নেননি রাজলক্ষ্মীদেবী। সেই রাগেই প্রেমিকাকে খুনের উসকানি দিতে শুরু করে রাঠ। তাতেই ২৯ তারিখ রাজলক্ষ্মীকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে দেয় তার মেয়ে। এরপর দুই প্রেমিক এসে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে তাকে। অবশেষে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাবালিকাকেও আটক করা হয়েছে।
