সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পালঘরের সাধুহত্যা মামলায় পাঁচ নাবালক-সহ আরও ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স আবার ৭০ বছরের বেশি বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়া ধৃতদের মধ্যে রয়েছে একজন এম টেক ডিগ্রি হোল্ডার ও নামী কোম্পানির এক ম্যানেজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার পাঁচ নাবালক-সহ ১৯ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্রের সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ (CID Crime Branch)। এরপর বুধবার ১৪ জনকে পালঘর (Palghar) আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আর পাঁচজন নাবালককে সংলগ্ন থানে জেলার ভিয়ান্ডি জুভেইনাল আদালতে পাঠানো হলে তাদের রিমান্ড হোমে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেন অন্ধ্রপ্রদেশের মহিলার শরীরে! আক্রান্ত অবস্থায় ট্রেনে ওঠায় তীব্র আতঙ্ক]
প্রশাসন সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে হওয়া ওই পাশবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ২৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৫ জন নাবালকও রয়েছে। তবে ধৃতদের মধ্যে ১০৫ জনকে জামিনও দিয়েছে আদালত। বাকিরা জেলবন্দি অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছে।
গত ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধু-সহ তাঁদের গাড়ির চালককে পিটিয়ে খুন করে একদল উন্মত্ত জনতা। মৃতরা গুজরাটের সুরাটে একটি কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, পালঘর জেলার কাসা থানার অন্তর্গত গাদচিনছালে গ্রামে তাঁদের গাড়ি আটকায় একদল জনতা। তারপর শিশু চোর সন্দেহে দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় খুনিরা। আর পুলিশের সামনে নৃশংসভাবে তিন জনকে পিটিয়ে মারে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। আর তদন্তে নেমে শুরুতেই ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মামলা শুরু করে মহারাষ্ট্র পুলিশ।