বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ভাটনগর পুরস্কারে (Bhatnagar Prize) সম্মানিত চার বাঙালি কৃতি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের জ্ঞানতন্ত্র মণ্ডপে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চারটি বিভাগে ২৪ জন বিজ্ঞানীকে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কারে সম্মানিত করেন। কৃতি বাঙালি বিজ্ঞানীরা হলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ কলকাতার রসায়ন বিভাগের ড. দিব্যেন্দু দাস, ইন্দ্রপ্রস্থ ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের দেবার্ক সেনগুপ্ত, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স বিভাগের অর্কপ্রভ বসু, এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ, মুম্বইয়ের গণিত ও কম্পিউটার বিভাগের অধ্যাপক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, প্রাণহীন কিছু রাসায়নিক পদার্থ দিব্যেন্দু দাসের গবেষণায় উঠে আসে প্রাণসুলভ পদার্থ বা ‘লাইফ লাইক ম্যাটার’। ক্যানসারের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জেনোমিক্সের প্রয়োগে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করায় ভাটনগর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বিরাটি হাইস্কুলের ছাত্র দেবার্ক সেনগুপ্ত। জিপিইউ ও সিপিইউ-র নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করে দেশের উৎকর্ষের সম্মান পেয়েছেন অর্কপ্রভ বসু। জটিল বিশ্লেষণের প্রথাগত ক্ষেত্রে তাঁর মহৎ যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতির হাতে সম্মানিত হলেন অধ্যাপক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ভাটনগর পুরস্কার হল দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ ও মর্যাদাপূর্ণ বিজ্ঞান পুরস্কার, যা বিজ্ঞানী শান্তি স্বরূপ ভাটনগরের নামে নামাঙ্কিত। প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি জৈবিক, রাসায়নিক, ভৌত, প্রকৌশল, গাণিতিক, চিকিৎসা ও পৃথিবী-বায়ুমণ্ডল-মহাসাগর-গ্রহ বিজ্ঞান— এই ক্ষেত্রগুলিতে উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয়।
