সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার গাজিপুরে কনস্টেবল মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবাকে হারিয়ে প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মৃত কনস্টেবলের ছেলে ভিপি সিং।
বুলন্দশহরের পর শনিবার গাজিপুরে পুলিশ খুনের ঘটনায় যোগীর রাজ্যের রক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় ডিউটি করে ফেরার পথে মৃত্যু হয় কনস্টেবল সুরেশ ভাটের। পুলিশ সূত্রে খবর, পাথর ছুঁড়ে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগের তির রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টির সমর্থকদের দিকে। রবিবার গাজিপুরের সার্কল অফিসার এম পি পাঠক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, এই ঘটনার লিখিত অভিযোগে ৩২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি ৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথাও লেখা রয়েছে এফআইআর-এ। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে শনিবার গুরুতর আহত অবস্থায় সুরেশ ভাটকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসক নবীন সিং জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
[প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিক্ষোভ, উত্তরপ্রদেশে ফের খুন পুলিশকর্মী]
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিক্ষোভ দেখায় রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টির সমর্থকরা। সভা থেকে ফেরার পথে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা বলে অভিযোগ। যদিও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাথর ছোঁড়ার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন নিষাদ পার্টির সভাপতি সঞ্জয় নিষাদ। উলটে তিনি বলছেন, এর নেপথ্যে বিজেপিরই হাত রয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তাঁর দলের কর্মীরা যুক্ত থাকলে যেন কড়া পদক্ষেপ করা হয়। কনস্টেবলের মৃত্যুর পাশাপাশি ঘটনায় আরও সাতজন পুলিশ আহত হন। তাঁদের পায়ে চোট লাগে। তাঁরাও চিকিৎসাধীন।
রানিগঞ্জের প্রতাপগড় জেলার বাসিন্দা সুরেশ ভাট। ইতিমধ্যেই মৃত কনস্টেবলের স্ত্রীকে ৪০ লক্ষ এবং অভিভাবকদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাবাকে হারিয়ে শোকাহত ছেলে ভি পি সিং। বলছেন, “এ রাজ্যে পুলিশই নিরাপদ নয়। তাদের থেকে আর আমরা কী আশা করব। আর্থিক সাহায্য নিয়ে এখন আর কী হবে। আগেও বুলন্দশহর আর প্রতাপগড়ে একই ঘটনা ঘটেছে। তারপরও উদাসীন প্রশাসন।”