সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বিপর্যয়। বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর মধ্যে ধসের নিচে চাপা পড়ে ছয় পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বৈষ্ণোদেবীর পথে। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন তীর্থযাত্রী। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে আপাতত যাত্রা স্থগিত করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুর অর্ধকুয়ারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। আচমকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাথর, বোল্ডার নেমে আসায় পুণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধসের নিচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েক জন পুণ্যার্থী। এর জেরেই ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ জন। এক্স হ্যান্ডেলে ধসের বিষয়ে জানিয়েছে বৈষ্ণোদেবী তীর্থ কর্তৃপক্ষও। এই ঘটনার জেরে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে ডোডায়। ভয়ংকর বৃষ্টির জেরে আসে হড়পা বান। যার জেরে এলাকার ১০টি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের। পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ। তাউই নদীর জল বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।
পরিস্থতি এতটাই গুরুতর আকার নিয়েছে যে ভূমিধসের ভয়ে বন্ধ রাখা হয় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডোডার পাশাপাশি গুরুতর অবস্থা কাঠুয়া জেলার। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ডোডার ভাদেরওয়া অঞ্চলে ৯৯.৮ মিমি এবং জম্মুতে ৮১.৫ মিমি।
