একশো দিনের কাজের বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে দিনভর দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি তৃণমূলের। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে (Raj Ghat) ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন। এরপর বিকেলে ছাত্র-যুবদের নেতৃত্বে নতুন সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হবেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থক ও শ্রমিক-কৃষকরা।
সন্ধে ৭.০৫: আগামিকাল সন্ধেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের। তার আগে দুপুরে কৃষিভবনে কর্মসূচি রয়েছে বলে জানালেন অভিষেক।
সন্ধে ৬.২০: কেন্দ্র ট্যাক্স না নিলে একশো দিনের টাকা চাইবে না রাজ্য। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা অভিষেকের। বললেন, এক লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। আর বাংলার প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। সেই সঙ্গে সাফ জানালেন, বাংলার বকেয়া নিয়েই ফিরবেন। সেই সঙ্গে যোগী রাজ্যে ৬০ লক্ষ জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক।
সন্ধে ৬. ৩৫: মণিপুর কাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক। বললেন, “নীরব দর্শক ছিল সিআইএসএফ।”
সন্ধে ৬.২৯: সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন অভিষেক। বললেন, “আপনারা অনেক পালটেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী পালটাবে। আর পালটে দেবে আমজনতা।” দিল্লি থেকে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “নেতা-কর্মীদের মারুন। কিন্তু আগামিকাল একজন সাধারণ মানুষের গায়ে আঁচড় পড়লে ফল ভালো হবে না।”
সন্ধে ৬.২৫: অভিষেকের দাবি রাজ্য সরকার চাকরি দিতে চায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে। বারবার মামলার জটে আটকে যাচ্ছে চাকরি। পাশাপাশি সাফ জানালেন, যারা অন্যায় করেছে তাঁরা শাস্তি পাবেনই।
সন্ধে ৬.২০: বৈঠকের পর ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি অভিষেক। রাজঘাটে পুলিশের আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “২০২১ এর পর থেকে ২০০ টা কেন্দ্রীয় দল বাংলায় গিয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প মিলিয়ে। কিন্তু কিছুই পায়নি। তার পরও গড়মিল না পেয়ে মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। আজ হঠাৎ করে গিরিরাজ সিং বললেন, সিবিআই দাবি করছেন।” পালটা দিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক। অভিযোগ জানালেন, রাজঘাটে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
বিকেল ৫. ৪০: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ। আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে X হ্যান্ডেলে সরব তৃণমূল।
বিকেল ৫. ২০: নতুন সংসদ ভবনের সামনে পৌঁছল বঞ্চিতরা।
বিকেল ৫.১২: তৃণমূলের ছাত্র যুব নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে বঞ্চিতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নতুন সংসদ ভবনের সামনে।
বিকেল ৫.০০: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শুরু বৈঠক।
বিকেল ৪. ৪৯: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিকেল ৪.৩৫: বিকেলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বাড়িতে বৈঠক তৃণমূলের।
বিকেল ৪.১০: রাজঘাটে আক্রান্ত হলেন এক সাংবাদিকও।
বিকেল ৪. ০৯: রাজঘাটে অভিষেককে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে, অভিযোগ করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ৩.৩৫: পুলিশি বাধায় মাঝপথে থামল অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক। পালটা উঠল বন্দেমাতরম স্লোগান।
দুপুর ৩. ৩০: বাঁকুড়ায় ঘর ভেঙে মৃত্যুর দায় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের উপর চাপালেন অভিষেক। তাঁর দাবি, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত গিরিরাজ সিংকে।
দুপুর ৩.২৫: দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদারকে মূর্খ বলে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ৩.১৯: এদিন অভিষেক দাবি করলেন, রাজঘাটে কর্মসূচির মাঝে ১০ মিনিট পর পর পুলিশ সমস্যা তৈরি করেছে। হিংসা হয়েছে রাজঘাটে। দিল্লি পুলিশ তাঁদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি।
দুুপুর ৩.১৫: রাজঘাট থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাংলার প্রতি লাঞ্চনার বিরুদ্ধে একাদিকবার দিল্লিতে এসে বৈঠক করার চেষ্টা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চিঠি লিখেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।” বাঁকুড়া দুর্ঘটনার দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপালেন অভিষেক। বললেন, আবাস যোজনার ঘর থাকলে এই ঘটনা ঘটত না।
দুপুর ৩.১১: কালো আর্ম ব্র্যান্ড। রাজঘাট থেকে বেরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা।
দুপুর ২.৫৩: রাজঘাট থেকে সময়ের আগেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বের করে দিল দিল্লি পুলিশ। বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠছে। রাজঘাট চত্বরে সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তার উপর আজ গান্ধী জয়ন্তী। সেখানে ভিভিআইপিরা যাতায়াত করছেন। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিও নজরে থাকছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদরা সেখানে রয়েছেন। তাঁদের সময় বেঁধে দিয়েছে পুলিশ। এদিন সকালে ধরনার শুরুতেই কর্তৃপক্ষের তরফে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার না আনার অনুরোধও করা হয়েছিল। পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই এখানে অবস্থান করছি। যাওয়ার সময় সমস্ত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার সরিয়ে জায়গা পরিস্কার করে দেওয়া হবে।”
দুপুর ২.৪৪: বঞ্চনা নয়, আইনেই আটকে গিয়েছে বাংলার শ্রমিকদের কাজের টাকা। নইলে ইউপিএ জমানার থেকে এনডিএ-র (NDA) আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেড়েছে অনেকটাই। দিল্লিতে মঙ্গলবার তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ালেও সোমবার সকাল থেকে X হ্যান্ডলে একাধিক পোস্ট করে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেছেন গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Sing)।
দুপুর ১.৩৭: প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে অভিষেক-সহ অন্যান্যা সাংসদ বিধায়করা। তাতে লেখা, “বাংলার বকেয়া দেওয়া হোক এখনই।”
দুপুর ১.১৫: রাজঘাটে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক, সাংসদ-সহ অন্যান্যরা। শুরু হল তৃণমূলের সত্যাগ্রহ।
দুপুর ১.০০: রাজঘাটে গান্ধীমূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কর্মসূচি শুরু তৃণমূলের।
সকাল ১১.০০: বকেয়ার দাবিতে আজ দিনভর দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে কর্মী-সমর্থকরা। দলের তরফে সকলকেই রাখা হয়েছে আম্বেদকর ভবনে। সোমবার সকালেই অম্বেডকর ভবনে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। ক’টি বাস এসেছে, ক’টি বাস আসার সম্ভাবনা রয়েছে, দিল্লিতে আসা কর্মী-সমর্থকদের দেখভালের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেয় পুলিশ।