shono
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে কত আর্থিক সাহায্য দিতে বাধ্য উড়ান সংস্থা? বিমার নিয়মই বা কী?

ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
Published By: Subhajit MandalPosted: 02:39 PM Jun 13, 2025Updated: 02:39 PM Jun 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু! আহত আরও বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সব দায়িত্বও নিয়েছে সংস্থা। অবশ্য সেটা এয়ার ইন্ডিয়ার 'মহানুভবতা' নয়। বরং বাধ্যবাধকতা। আন্তর্জাতিক নিয়মেই বিমানসংস্থা দুর্ঘটনায় মৃতদের মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য করতে বাধ্য।

Advertisement

আসলে আন্তর্জাতিক কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, সেই দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পড়ে। ১৯৯৯ সালে উড়ান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে তৈরি হয় ‘মন্ট্রিল কনভেনশন’। ভারতও তাতে স্বাক্ষর করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীদের মৃত্যু হলে বা শারীরিক আঘাত লাগলে মৃত যাত্রীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং আহত যাত্রীর চিকিৎসার খরচ বহন করতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা। এই আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি হতে পারে।

এই আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মসংস্থান, শেষ পাওয়া বেতনের পরিমাণ, বৈবাহিক অবস্থা, সাধারণ আর্থিক অবস্থা এসবের উপর নির্ভর করে। যদি প্রমাণিত হয় দুর্ঘটনার নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থার গাফিলতি রয়েছে তাহলে আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা আরও বাড়বে। বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমার সুবিধাও পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বিমানে ওঠার আগে সমস্ত যাত্রীকে নিজেদের উদ্যোগে ভ্রমণ বিমার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা পায় নিহতের পরিবার। স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনার জেরে চিকিৎসা খরচের জন্যেও সংশ্লিষ্ট বিমার টাকা পেতে পারেন তাঁরা।

তবে এই নিয়মগুলি সবটাই আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য। ঘরোয়া বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যের নিয়ম ঠিক করে কেন্দ্রীয় সরকারি অধীনস্থ সংস্থা ডিজিসিআই। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আন্তর্জাতিক কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, সেই দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পড়ে।
  • ১৯৯৯ সালে উড়ান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে তৈরি হয় ‘মন্ট্রিল কনভেনশন’।
  • আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি হতে পারে।
Advertisement