shono
Advertisement

নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করলেন AIMIM বিধায়করা, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা!

এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Posted: 09:11 AM Jan 29, 2021Updated: 09:11 AM Jan 29, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভোট কাটোয়া’ এআইএমআইএম (AIMIM)’র জন্যই বিহারে ক্ষমতা এসেছে এনডিএ জোট! আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলের জন্যই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার! কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে আরজেডি-সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী দল। এবার নীতিশ কুমারের দেখা করে সরাসরি দলবদলের জল্পনা উসকে দিলেন এআইএমআইএমের পাঁচ বিধায়ক। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিহারের এআইএমআইএম সভাপতি আখতার উল-ইমানের নেতৃ্ত্বে বাকি চার বিধায়ক মহম্মদ আজহার আসিফ,শাহনওয়াজ আলম, সৈয়দ রুকুনুউদ্দিন ও আজহার নায়মি পাটনার এক নম্বর আনে মার্গে অবস্থিত নীতিশ কুমারের বাড়িতে যান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থাকা বিহারের অপর মন্ত্রী বিজয় চৌধুরীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেন। আর তারপরই শুরু হয় জল্পনা। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) দলের পাঁচ বিধায়ক আচমকা জেডিইউ প্রধান ও বিহারের এনডিএ জোটের নেতা নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে কেন দেখা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিহারে ভোটে দাঁড়িয়ে পাঁচটি আসনে জেতার পর পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিল এআইএমআইএম। বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক জেলায় প্রার্থী দেবে বলেই ঘোষণা করেছিল। আর এর ফলে সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসিয়ে যেভাবে বিহারে তারা এনডিএ তথা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গও সেই খেলা খেলতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও প্রথম থেকেই তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন এআইএমআইএম। কিছুদিন আগে দলের যুব সংগঠনের প্রতিটি জেলার যুব সভাপতি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও তাই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াইয়ে কথা ঘোষণা করেছিলেন ওয়েইসি। কিন্তু, বিহারের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন: রাতের মধ্যে গাজিপুর সীমানা খালি করার নির্দেশ প্রশাসনের, অবস্থানে অনড় কৃষকরা]

যদিও দলবদলের জল্পনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সীমাচলম অঞ্চলের ওই বিধায়করা নিজেদের এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বলে জানান এআইএমআইএম মহম্মদ আদিল হাসান। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সীমাচলম অঞ্চলের ওই বিধায়করা নিজেদের বিধানসভা এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া নীতীশ কুমারের সঙ্গে আমাদের কোনওদিনই বিরোধ ছিল না। আমাদের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সবসময়ই বলে এসেছেন যে নীতিশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেই জেডিইউর সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে রাজি। তাই নীতিশ কুমারের সঙ্গে আগামিদিনেও আমরা দেখা করব।’

[আরও পড়ুন: ১২ দিনে দেশে ২ লক্ষের বেশি টিকাকরণ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যের খতিয়ান দিলেন প্রধানমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement