নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সোনালি বিবির (Sonali Bibi) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে ফেরত আসা সোনালির সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। দিল্লি থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সোনালি বিবি-সহ ছ’জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এরপর সীমান্ত থেকে তাঁদের 'পুশ ব্যাক' করে বিএসএফ। মাসের পর মাস ওপার বাংলার জেলে কাটাতে হয় বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবিকে। যা নিয়ে চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই। সুপ্রিম নির্দেশে অবশেষে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে সোনালির।
এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, ''আগামী পরশুদিন সোনালি খাতুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছি। তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা ছিল। যোগাযোগ ছিলাম আমরা।'' তবে এখনও বাংলাদেশে আটক রয়েছেন সোনালি বিবির স্বামী এবং তাঁর প্রতিবেশী সুইটি খাতুন। সোনালির সঙ্গেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সুইটিকেও বাংলাদেশে 'পুশ ব্যাক' করা হয়। এই সমস্ত পরিবারের পাশে থাকারও বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আমি সবাইকে বলব, চিন্তা করবেন না। তৃণমূল পাশে রয়েছে।''
বলে রাখা প্রয়োজন, চলতি মাসের শুরুতেই ভারতে ফেরেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি। দেশে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ''বাংলাদেশে খুব কষ্টে ছিলাম। ভারতে ফিরে আসতে পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। ৮ মাসের ওপরে বাংলাদেশের ছিলাম। দিল্লি পুলিশ আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করেছিল। আমরা অনেক অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও আমাদেরকে বিএসএফকে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল।''
ঘটনার প্রথমদিন থেকেই এই বিষয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক। প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মামলার শুনানিতে মানবিকতার কথা ভেবে সোনালিকে ফেরানো হবে বলে জানায় কেন্দ্র। এরপরেই গত ৫ ডিসেম্বর ভারতে ফেরেন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি এবং তাঁর নাবালক সন্তান।
