সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার ম্যাচ চলাকালীন খুন হন কবাডি খেলোয়াড় রানা বালাচৌরিয়া। পাঞ্জাব পুলিশের এনকাউন্টারে খতম ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী হরপিন্দর আলিয়া মিড্ডু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গেল পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মিড্ডু। পালটা গুলি চালালে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীর।
এক বিবৃতিতে পাঞ্জাব পুলিশ দাবি করেছে, অভিযুক্ত হরপিন্দর আলিয়া মিড্ডু নওশেহরা পান্নুয়ানের বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিড্ডুকে গ্রেপ্তার করতেই চেয়েছিল পুলিশ। তখনই দুষ্কৃতী গুলি চালায়। পালটা হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় অভিযুক্ত। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি কর হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মিড্ডুর। এনকাউন্টারে দুই পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
সোমবার মোহালিতে একটি টুর্নামেন্ট চলছিল। সেখানে মোটরসাইকেল চেপে আসে হত্যাকারীরা। সেলফি তোলার কথা বলে কাছাকাছি এসেই রানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে সিধু মুসাওয়ালার হত্যাকারী বামবিহা গ্যাং। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রানার মুখে এবং শরীরের উপরের অংশে চার থেকে পাঁচটি গুলি লাগে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে মোহালির ফর্টিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে কবাডি খেলোয়াড়ের।
মোহালি পুলিশ জানায়, বাইকে চেপে দুই থেকে তিন জন দুষ্কৃতী এসেছিল। এখনও স্পষ্ট নয় কেন খুন করা হল কবাডি খেলোয়াড়কে। তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও বামবিহা গ্যাংয়ের তরফে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, রানা তাদের বিরোধী জগ্গু ভগবানপুরিয়া এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্য়াংয়ের হয়ে কাজ করছিল। সেই কারণেই তাঁকে করা হয়েছে। কবাডি টুর্নামেন্টে গান গাইতে আসার কথা ছিল একজন বিখ্যাত পাঞ্জাবি গায়কের। তাঁকে হত্যা করতেই কি এসেছিল দুষ্কৃতীরা?
