shono
Advertisement
Amit Shah

সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে সংসদে সরব তৃণমূল, পালটা 'ভোট পরবর্তী হিংসা' মনে করালেন ক্ষুব্ধ শাহ

তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের বক্তব্যের সময় পাঁচবার বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
Published By: Subhajit MandalPosted: 09:28 AM Mar 20, 2025Updated: 09:28 AM Mar 20, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অমিত শাহ-তৃণমূল সংঘাত রাজ্যসভায়। সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরব হতেই কার্যত রেগে আগুন হয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজের উপর আলোচনায় প্রথম বক্তা ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকতে গোখলে। নিজের বক্তব্য শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় শাহর মন্ত্রকের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। শাহর মন্ত্রকের আচরণ জমিদারি চালানোর মতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। তারপরেই বাংলার সিবিআই ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তীব্র আপত্তি জানান শাহ।

Advertisement

রাজ্যসভার সাকেত গোখলে দাবি করেন, আজকাল ছোটখাটো যে কোনও ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইয়ের হাতে। অথচ অধিকাংশ মামলার কোনও সুরাহা হচ্ছে না। জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, তাঁর মন্ত্রকের কাজের বিষয়ে আলোচনার সময়ে সিবিআই প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়মবহির্ভূত। সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদৌ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে নেই। তাতে সাকেত পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, 'এতেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন।'

তৃণমূল সাংসদের কটূক্তি শুনে রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নামেন শাহ। এবার বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "যে মামলার কথা তদন্তভারের কথা বলা হচ্ছে সেগুলি দুর্নীতির তদন্তের জন্য নয়। ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় উচ্চ আদালত ও শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে।" শাহ দাবি করেছেন, "বাংলায় বহু মানুষ ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন। যে সব এলাকায় বিজেপি জিতেছে সেই এলাকায় বেছে বেছে হিংসা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।"

সাকেতের বক্তব্য চলাকালীন রাজ্যসভার নেতা জে পি নাড্ডাও প্রতিবাদ করেন। আবার কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও সাকেতকে বাধা দেন। পরে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন অভিযোগ করেন, "সংসদে বিরোধীদের ধমকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। রাজ্যসভায় আমাদের দলের সাংসদ সাকেতকে আজ তিন মন্ত্রী বারবার বলতে বাধা দিয়েছে। জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং কিরেন রিজিজু মোট পাঁচবার তাঁকে বাধা দিয়েছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা।" তিনি আরও বলেন, "আমরা জানি মোদিবাবু ভয় পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু একজন তরুণ সাংসদকেও বলতে বাধা দেওয়া হবে এটা অনভিপ্রেত। সংসদে মিথা ভাষণ করা যায় না। কিন্তু ওঁরা করেই থাকেন। যেমন আজও করেছন। সাকেতকে বাধা দেওয়ার সময় বাংলা সম্পর্কে অসত্য বলেছেন।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরব হতেই কার্যত রেগে আগুন হয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
  • শাহর মন্ত্রকের আচরণ জমিদারি চালানোর মতো বলে অভিযোগ করেন সাকেত গোখলে।
  • তারপরেই বাংলার সিবিআই ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তীব্র আপত্তি জানান শাহ।
Advertisement