সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে রীতিমতো কোমর ভেঙে গিয়েছে একাধিক পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর। কিন্তু পাকিস্তান এবং সেদেশের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি যে এরপর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না সেটা ভালোই জানে নয়াদিল্লি। তাই আগেভাগে সেরে রাখা হচ্ছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। অপারেশন সিঁদুরের পরই সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই ১০ রাজ্যের মধ্যে ছিল বাংলাও।
মূলত, যে সব রাজ্য নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা ওই বৈঠকে ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বাংলা ছাড়া জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবেরা বৈঠকে ছিলেন।
আসলে অপারেশন সিঁদুরের পর প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। তবে ইসলামাবাদ সরাসরি হামলা করার পরিকল্পনা করার থেকেও ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষতে পারে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। তাই নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে যে সব রাজ্য সীমান্ত ভাগ করে নেয়, সেই সব রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্য প্রশাসনগুলির সহায়তা চেয়েছেন তিনি। যে সব রাজ্যের সীমান্তে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করছে বা করতে পারে, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে দ্রুত সীমান্ত থেকে সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার। ওই বৈঠকে অমিত শাহ অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বেছে বেছে প্রিসিশন স্ট্রাইক করেছে। পাক সেনার কোনও পরিকাঠামোতেও আঘাত হানা হয়নি। তবে পাক সেনার তরফে প্রত্যাঘাতের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শাহী বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
