সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দিলেন রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি। গত শুক্রবারই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক অফিস এবং অন্যান্য স্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ৬ আগস্ট, মঙ্গলবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ইডি দপ্তরে পৌঁছে যান রিলায়্যান্স গ্রুপের প্রোমোটিং ডিরেক্টর। ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।
আর্থিক তছরুপের তদন্ত চলছে অনিলের বিরুদ্ধে। অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহেই তাঁর ৫০টি সংস্থায় তল্লাশি চালায় ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ের ৩৫টি জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অন্তত ২৫ জনকে। সূত্র মারফত জানা যায়, সিবিআইয়ের দায়ের করা দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতেই অনিলের নানা সংস্থায় হানা দিয়েছে ইডি। শুক্রবার কলকাতা এবং ভুবনেশ্বরের বেশ কয়েকটি দপ্তরেও ইডির তল্লাশি শুরু হয়। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং তার প্রোমোটিং ডিরেক্টরকে ‘ফ্রড’ হিসাবে উল্লেখ করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত সপ্তাহে সংসদে কেন্দ্র জানায়, এবার সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। অনিল আম্বানির সংস্থা আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। সম্পত্তি বেচে পাওনাদারদের দেনা মেটানোর চেষ্টাও করেছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার। কিন্তু তাতেও সমস্যা কমছে না অনিলের।
এর আগে ২০২৩ সালে ইডি তলব করেছিল অনিলকে। দীর্ঘ জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এর আগে ২০২০ সালেও একবার অনিল আম্বানিকে তলব করেছিল ইডি। ইয়েস ব্যাংকের ঋণ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। পরে সেই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর।
