সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সংখ্যালঘু বিরোধী’ ভাবমূর্তি ভারতীয় পণ্যের বাজারের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এবং বহু দেশই ভারতকে ‘ভরসাযোগ্য’ অংশীদার হিসেবে মনে করবে না। এমনই সতর্কবার্তা শোনাচ্ছেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)।
সম্প্রতি জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মসজিদ। এরপরই এমন কথা বলতে শোনা গেল রঘুরামকে। অর্থনীতি বিষয়ক একটি সমাবেশে তিনি বলেন, ”যদি আমরা এমন গণতন্ত্র হতে পারি, যেখানে সব নাগরিককে সমান সম্মানের সঙ্গে দেখা হয় এবং আপনারা জানেন, অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলির ক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠি। ক্রেতারা মনে করেন, আমরা এমন এক দেশ থেকে জিনিস কিনছি যারা সঠিক কাজ করার চেষ্টা করছে। আর এভাবেই আমাদের বাজার বৃদ্ধি পায়।”
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান ছেড়ে পালাতে পারবেন না ইমরান খানের মন্ত্রীরা, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত শরিফের]
সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, কেবল উপভোক্তারাই এটা বেছে নেন না। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উষ্ণতাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কোনও দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কোনও দেশ ‘ভরসাযোগ্য’ কিনা। রঘুরাম এপ্রসঙ্গে চিনের উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনা প্রশাসনের আগ্রাসন এবং তিব্বতীদের প্রতি আচরণের কারণে বেজিংয়ের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর লড়াকু মানসিকতার জন্য সমর্থনও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রঘুরাম। তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক পৃথিবী এতেই বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন, ইডি কিংবা সিবিআইয়ের মতো সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের অবমূল্যায়ন করা দেশের গণতান্ত্রিক চরিত্রকে ক্ষুণ্ণ করে।
এদিকে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরও। তিনি অভিযোগ করেন, আইটি সংস্থাগুলির পরিকল্পনার গলদের কারণেই ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মজুরি মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে।