সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে দেশি পিস্তল তৈরির পদ্ধতি শিখে বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা খুলেছিল নাবালক। পড়াশুনোর ফাঁকে রমরমিয়ে চলছিল অস্ত্র ব্যবসাও। প্রায় এক বছর ধরে এই বেআইনি কারবার চালানোর পর অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দশম শ্রেণির পড়ুয়া। নাবালকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে অস্ত্রের ভাণ্ডার দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হল পুলিশের। এই ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের জলন্ধরের কোট মহল্লা এলাকায়।
এলাকায় যে কোথাও অস্ত্রের কারখানা গজিয়ে উঠেছে অনেকদিন ধরেই সে আভাস পাচ্ছিল জলন্ধর পুলিশ। একাধিক অপরাধীর কাছে বাজেয়াপ্ত হয় দেশি আগ্নেয়াস্ত্র। এরপরই অস্ত্র কারখানার খোঁজ পেতে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। রীতিমতো জাল বিছিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই পড়ুয়ার নাগাল পায় পুলিশ। তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয় ১০টি দেশি পিস্তল, লোহা কাটা মেশিন, ড্রিল মেশিন-সহ পিস্তল বানানোর আরও বহু সামগ্রী। এছাড়া নম্বর প্লেট বিহীন একটি স্কুটারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, অস্ত্রের চালান দিতে এই গাড়িটি ব্যবহার করা হত।
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেয়েছে, অনলাইনে পিস্তল তৈরির ট্রেনিং নিয়েছিল সে। এরপর ১১ মাস আগে নিজের বাড়িতেই খুলে ফেলে অস্ত্র কারখানা। দশম শ্রেণির পড়ুয়ার এহেন কাণ্ড দেখে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক পুলিশ কর্তারা। যদিও অস্ত্র তৈরি করলেই তো হল না তা বিক্রির জন্য লাগে বিশেষ সোর্স। এই নাবালক একাই সেই কাজ চালাতে পারে না বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, এই পিছনে কোনও বড় চক্র থাকতে পারে। সেই বড় মাথারাই এই নাবালককে দিয়ে এই কাণ্ড করাতো। আপাতত অভিযুক্ত ওই পড়ুয়াকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই অস্ত্র কারবারে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
