shono
Advertisement

সরকারি মাদ্রাসা উঠে গিয়ে হবে সাধারণ স্কুল, বিল পাশ অসম বিধানসভায়

হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে এই বিল একটা উপহার।
Posted: 10:24 PM Dec 30, 2020Updated: 10:24 PM Dec 30, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জল্পনার অবসান। বুধবার সরকারি মাদ্রাসা (State-run madrasas) তুলে দেওয়া সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেল অসম (Assam) বিধানসভায়। সরকারি মাদ্রাসাগুলিকে এবার আপার প্রাইমারি, হাই ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পরিণত করা হবে। আগেই এই বিলের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। আজ পাশ হয়ে গেল বিলটি। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকরী হবে।

Advertisement

কী বলা হয়েছে এই বিলে? বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, অসম মাদ্রাসা শিক্ষা (প্রাদেশিকীকরণ) আইন, ১৯৯৫ এবং অসম মাদ্রাসা শিক্ষা (কর্মচারীদের চাকরির প্রাদেশিকীকরণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন) আইন, ২০১৮ দু’টি বাতিল করে দেওয়া হবে। এর ফলে অবশ্য মাদ্রাসাগুলির শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারী কারও পদ বা বেতনে কোনও পরিবর্তন হবে না। কেবল মাদ্রাসাগুলিকে স্কুলে পরিণত করা হবে। প্রসঙ্গত, গোটা অসমে ৬১০টি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা আছে।

[আরও পড়ুন: নিষ্ফলা ষষ্ঠ দফার আলোচনা, জানুয়ারিতে ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রের]

আজ বিলটি পেশ করা হলে বিরোধী দলগুলি এর প্রতিবাদ করে। কংগ্রেস ও AIUDF বিধায়কদের দাবি ছিল, বিলটি পর্যালোচনার জন্য কমিটির কাছে পাঠানো হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ মানতে রাজি হননি হিমন্ত। এরপরই স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামীর নির্দেশে ধ্বনি ভোট নেওয়া হয়। সেই ভোটেই পাশ হয়ে যায় বিলটি। যদিও তার আগেই বিরোধীরা ওয়াকআউট করে কক্ষ থেকে। ফলে তা পাশ করাতে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি বিজেপিকে।

এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে এই বিল একটা উপহার। তাঁর কথায়, ‘‘মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়ারা আজ থেকে ১০ বছর পরে এই সিদ্ধান্তের জন্য উচ্ছ্বসিত হবে।’’ এদিন বিরোধী নেতাদের প্রতিবাদের সময় তাঁদের একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আগেই এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সকলকে জানিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, সরকারি টাকায় কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে বেসরকারি মাদ্রাসাগুলিকে এই বিলের আওতায় আনা হয়নি।

[আরও পড়ুন: শাহিনবাগের সেই বন্দুকবাজ বিজেপিতে! যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করা হল বহিষ্কার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement