সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের স্ত্রীর সংস্থাকে আকর্ষণীয় শর্তে পিপিই কিটের (PPE Kit) বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) বিরুদ্ধে। তথ্যের অধিকার আইনে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। পাশাপাশি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Deputy Chief Minister of Delhi) মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) একই বিষয় তুলে হিমন্ত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও হিমন্ত যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দেন। এইসঙ্গে হুমকি দেন, মানহানির মামলা করবেন। বাস্তবিক দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া (Riniki Bhuyan)।
গত ৪ জুন মণীশ অভিযোগ করেন, ”হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওঁর স্ত্রীর সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। উনি পিপিই কিট পিছু ৯৯০ টাকা দিয়েছিলেন। যেখানে অন্যান্য সংস্থা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছিল। এটা বড় অপরাধ। বিজেপির কি সাহস আছে নিজেদের নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার? নাকি ওরা আমাদের কথাকে উড়িয়ে দেবে?”
[আরও পড়ুন: ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই, কোন পরিকল্পনায় উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ একনাথ শিণ্ডের]
মণীশের এই বক্তব্য নিয়েই আপত্তি করেন হিমন্ত। পালটা টুইট করেন, ”যখন দেশ ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অতিমারীর মুখোমুখি হয়েছিল, সেই সময়ে অসমে পিপিই কিট ছিলই না। আমার স্ত্রীই এগিয়ে আসেন। উনি সরকারকে দেড় হাজারেরও বেশি পিপিই কিট দান করেছিলেন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। উনি এজন্য একটি পয়সাও নেননি।” এইসঙ্গে মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ডিভাইডারের ধাক্কায় উলটে গেল গাড়ি, হাসপাতালে ভরতি Amul কর্তা]
মঙ্গলবার গুয়াহাটির আদালতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন রিনিকি ভুঁইয়া। এই বিষয়ে রিনিকির আইনজীবী পদ্মাধর নায়েক বলেন, “দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে আমার মক্কেলের কাছে থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পিপিই কিট কেনা হয়েছিল। এটা পুরো একটা মনগড়া কথা। এই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামহানির মামলা করা হয়েছে।”