সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে (Assam) লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ। কিছুতেই থামছে না মারণ রোগের মৃত্যুমিছিল। এহেন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত ৭টি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘পালাতে গেলে পুলিশ গুলি করবেই’, অসমে এনকাউন্টার বৃদ্ধির সপক্ষে সাফাই হিমন্ত বিশ্বশর্মার]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, জোরহাট, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর ও মরিগাওঁ জেলায় আগামীকাল অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন বলবৎ হবে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ রুখতে ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি থাকবে। খাবারের দোকান, রেস্তরাঁ, শপিংমল সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি যান চলচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আগামীকাল থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, শিবসাগর ও ডিব্রুগড় জেলার উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সেখানেও সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হতে পারে। বলে রাখা ভাল, শুরুর দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অসমে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এপর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৭ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৫২জন মানুষের।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার (Corona Virus) তৃতীয় ঢেউ আসন্ন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে আগস্টেই তা দেশে আছড়ে পড়বে। তবে তার আগে দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ বেশ স্বস্তিসূচক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭০৩ জন। ১১১ দিনের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ। ফলে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত সপ্তাহে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন কৃষক নেতা অখিল গগৈ। তাঁর মুক্তিতে ওই রাজ্যে ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মিছিল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এহেন সময়ে লকডাউন জারি হওয়ায় আপাতত বিক্ষোভের পথ বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।