সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কতজনই তো কত কী করেন। তবে রেলের (Rail) অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট অর্থাৎ সহকারী চালক যতটা ঝুঁকি নিয়ে থমকে থাকা ট্রেন চালু করেন, তা সত্যিই শিক্ষণীয়। মুম্বই (Mumbai) থেকে বিহার যাওয়ার গোদান এক্সপ্রেসের সহ-চালক সতীশ কুমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং রেলমন্ত্রী। তিনি টুইট করে সতীশের গুণগান করেছেন।
কী কারণে রাতারাতি রেলচালক সতীশ কুমার এভাবে নায়ক হয়ে উঠলেন? আসুন, ঘটনাটা একবার জেনে নেওয়া যাক। গত ৬ তারিখ অর্থাৎ শনিবার মহারাষ্ট্রের (Maharshtra) তিতওয়ালা থেকে খাড়াবলি স্টেশন যাওয়ার পথে আচমকা নদীর উপর সেতুতে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। জানা যায়, এক যাত্রীই চেন টেনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু কী সমস্যা ছিল, তা বুঝতে না পেরে সহকারী চালক নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সোজা চলে যান ওই কামরায়।
[আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে রাজ্যের হাতিয়ার ‘জব ফেয়ার’, মেলা থেকে ৯ হাজার চাকরি হয়েছে, দাবি মন্ত্রীর]
ট্রেনের একেবারে শেষদিকে বগি থেকে চেন টেনে ট্রেন থামানো হয়। নদীর উপর সেতুতে পাতা রেলট্র্যাকের উপর দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা অতিক্রম করেন সতীশ কুমার। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রেললাইন আর চাকার মাঝের অতি সরু ফাঁক দিয়ে অত্যন্ত সন্তর্পণে এগিয়ে যাচ্ছেন সহকারী চালক। শেষ পর্যন্ত গিয়ে অবশ্য তিনি দেখেন, কোথাও কোনও সমস্যা নেই। এরপর সতীশের কথায় ট্রেনটি চালু করেন চালক।
[আরও পড়ুন: রেলের ইনস্পেকশন কারেই কাটা পড়লেন রেলকর্মী, ঘুরেও দেখলেন না আধিকারিকরা]
এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এত ধৈর্য ধরে যাত্রীর সমস্যা খোঁজার জন্য সতীশ কুমারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। পাশাপাশি, যাত্রীদের প্রতি তাঁর আবেদন, অকারণে চেন ট্রেন থামাবেন না। এতে চালকরা মহা সমস্যায় পড়েন। গত এক বছরে এভাবে বিনা কারণে ট্রেন থামানোর ঘটনার অভিযোগ ভুরি ভুরি জমা পড়েছে রেলমন্ত্রকে। এমন যাত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়া উচিত বলে রেলকে পরামর্শ দিয়েছেন নেটিজেনরা।