সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ঝাড়খণ্ড বিজেপির। দল ছাড়ার ১৪ বছর পর ফের বিজেপিতে শামিল হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি (Babulal Marandi)। একই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে মিশে গেল তাঁর দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক) (Jharkhand Vikas Morcha)। জেভিএম-বিজেপির সংযুক্তিকরণের ফলে ঝাড়খণ্ডে গেরুয়া শিবিরের শক্তি অনেকটাই বাড়ল।
বাবুলালকে দলে স্বাগত জানাতে এদিন রাঁচিতে উপস্থিত ছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। শাহ-নাড্ডাদের উপস্থিতিতে ১৪ বছর পর পুরনো দলে ফেরেন বাবুলাল মারান্ডি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে শামিল হন। জেভিএমের দাবি, আগামী দিনে তাঁদের প্রায় ২০ হাজার কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন। বাবুলাল মারান্ডিকে দলে স্বাগত জানিয়েও অবশ্য তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন “আমি ২০১৪ সালে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই ওঁকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করছি। লোকে ঠিকই বলেন, ও খুব জেদি। আমরা সহজে ওঁকে বোঝাতে পারিনি। এতদিন বাদে মানুষের ইচ্ছেতেই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।” বাবুলালও দাবি করেন, “বিজেপি আমাদের সঙ্গে ২০১৪ সালের পর থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যোগাযোগ করেছিল।”
[আরও পড়ুন: গান্ধীজির ইচ্ছামতো দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হোক মদ, জোরাল দাবি নীতীশ কুমারের]
বেশ কিছুদিন ধরেই বাবুলাল মারান্ডির বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলছিল। এমনকী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তুলে তাঁর দল ছেড়েছেন দুই বিধায়ক। তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দুই বিধায়কের অনুপস্থিতিতে আপাতত ঝাড়খণ্ডে কার্যত শক্তিহীন ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা। দলের একমাত্র বিধায়ক মারান্ডি নিজেই। তবে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব জনপ্রিয়তা আছে। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৬ শতাংশ ভোটও পেয়েছিল বাবুলাল মারান্ডির জেভিএম। শুধু তাই নয়, বাবুলাল আদিবাসী মুখ হওয়ায় আদিবাসী অধ্যূষিত ঝাড়খণ্ডে জেএমএম ভোটব্যাংকেও ভাগ বসাতে পারে গেরুয়া শিবির।
The post ঝাড়খণ্ডে শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির, সদলবলে গেরুয়া শিবিরে যোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.