সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে আইএসআই মদতপুষ্ট বড় একটি জঙ্গিচক্রের হদিশ মিলেছে। মঙ্গলবার পাঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে একাধিক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই আবহে পাঞ্জাবে জঙ্গিচক্রের হদিশ পাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে পাক জঙ্গি হরবিন্দর সিং রিন্ডা। সংগঠনটির দুই হ্যান্ডলার মনিন্দর বিল্লা এবং মন্নু আগওয়ান বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সরাসরি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ রয়েছে বলেও খবর।
পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী কর্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ইতিমধ্যেই ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম যতীন কুমার ওরফে রোহন, বারিন্দর সিং ওরফে সাজন, রাহুল মাসিহ, আব্রাহাম ওরফে রোহিত, সোহিত এবং সুনীল কুমার। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক এবং কার্তুজ। গত সপ্তাহে পাঞ্জাবে যে গ্রনেড হামলা হয়েছিল তাঁর নেপথ্যে ছিল এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি। মনিন্দর এবং মন্নুর সরাসরি নির্দেশেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুন্দরী ‘দেশদ্রোহী’ জ্যোতি মালহোত্রা। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই ঘটনার ক'দিনের মধ্যেই পাঞ্জাবে বড় জঙ্গিচক্রের হদিশ পেল পুলিশ।
