সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই দিনে পড়েছে হোলি ও রমজান মাসের জুম্মার নামাজ। সাম্প্রদায়িক অশান্তি এড়াতে বিশেষ এই দিনে হোলি পালনে ২ ঘণ্টার বিরতির দাবি জানিয়েছেন জেডিইউ নেত্রী তথা বিহারের দ্বারভাঙার মেয়র আঞ্জুম আরা। তাঁর এহেন দাবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চরম আকার নিল। মেয়রের এহেন দাবির পালটা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ধরনের প্রস্তাবকে 'জঙ্গি মানসিকতা' বলে তোপ দাগা হয়েছে বিজেপির তরফে।

উৎসবকে কেন্দ্র করে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে কোনও রকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে সে কথা মাথায় রেখে জেলা শান্তি সমিতির বৈঠক করেছিলেন মেয়র আঞ্জুম। সেই বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেয়র বলেন, "সমাজে এমন দু-চারজন মানুষ থাকেই যারা চায় অশান্তি করতে। এই ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত হোলি পালনে বিরতি থাকা উচিত। এই সময়টা জুম্মার নামাজের সময়। ফলে এই দুই ঘণ্টায় নির্বিঘ্নে মসজিদে নামাজ সেরে ফিরে আসতে পারবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।" মেয়র বলেন, "আমি জেলা প্রশাসনের কাছে এই প্রস্তাব দিয়েছি। এখন দেখা যাক জেলা প্রশাসন আমার এই প্রস্তাব মানে কিনা।''
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিহারে বিজেপির শরিকদল জেডিইউ। আর এই দলেরই নেত্রী আঞ্জুম। তাঁর এমন দাবিতে চরম ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। মেয়রের দাবির পালটা বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বলেন, "হোলি পালনে কোনওরকম বিরতি হবে না। যে মহিলা এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি সন্ত্রাসবাদী মানসিকতার। উনি গজবা-ই-হিন্দ মানসিকতার মহিলা। ওনার গোটা পরিবারকে আমি চিনি। হোলি কীভাবে আটকানো হয় আমরাও দেখব। কোনও মূল্যেই হোলি থামানো হবে না। এক মিনিটের জন্যও থামবে না এই উৎসব।"
উল্লেখ্য, দ্বারভাঙার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২৩ সালে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন আঞ্জুম। ফলে বিহারের শাসকদল জেডিইউ নেত্রীর হোলিতে বিরতির এমন দাবি স্বাভাবিকভাবেই চর্চায় উঠে এসেছে। জেডিইউ-এর তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও চটে লাল বিজেপি।