সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী চাপের মুখে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের খসড়া পরিমার্জনে গড়া হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC)। যদিও জেপিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন বিজেপিরই লোকসভা সাংসদ জগদম্বিকা পাল। এরমধ্যেই রবিবার জানা গেল, ওয়াকফ বিলের বিষয়ে মুসলিমদের পরামর্শ চাইবে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। পক্ষে ও বিপক্ষে মত শোনার পর তা পাঠানো হবে জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া সংসদীয় কমিটিতে।
পিটিআই সূত্রে খবর, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিষয়টিতে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে এগোতে চাইছে বিজেপি। এই কারণেই সাত সদস্যের একটি দল তৈরি করবে গেরুয়া শিবির। যারা গোটা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতামত সংগ্রহ করবে। শোনা যাচ্ছে, এই দলে থাকবেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতার দাবি, যদি বিলের কোনও বিষয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আপত্তি থাকে, তাও সংসদীয় কমিটিকে জানানো হবে। যদিও বিজেপি মনে করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষ ওয়াকফ বোর্ডে সংস্কারের পক্ষেই রায় দেবে। পিটিআই সূত্রে খবর, ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিজেপির এই 'সমীক্ষা রিপোর্ট' জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটিকে ছাড়াও দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: অন্ধ্রেও ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাব, দুর্যোগের বলি ৯, লাগাতার বর্ষণে ডুবছে তেলেঙ্গানাও]
গত ৮ আগস্ট বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিরোধীরা দাবি করে, ওয়াকফ সংশোধনীর নামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করছে শাসক দল। বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলেও সমালোচনা করা হয়। অন্যদিকে জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মতো মুসলিম সংগঠনগুলির মতে, গেরুয়া শিবির দীর্ঘ সময় ধরেই দিল্লি-সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেই কারণেই সংশোধনী বিল পাশ করাতে এত তাড়াহুড়ো। স্বভাবতই কেন্দ্র এই দাবি মানতে চায়নি।
[আরও পড়ুন: জুয়া চক্রে ২ হাজার কোটির সম্পত্তি, ইন্টারপোলের সাহায্যে অভিযুক্তকে দেশে ফেরাল CBI]
উল্লেখ্য, ওয়াকফে প্রস্তাবিত সংশোধন গ্রাহ্য হলে নতুন আইনের নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। নতুন বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই বিলই এখন রয়েছে জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া সংসদীয় কমিটিতে।