shono
Advertisement
Kidney Racket

কার অঙ্গুলিহেলনে 'না' হয়ে যেত 'হ্যাঁ'? অশোকনগরের কিডনি পাচারে পুলিশের স্ক্যানারে নেফ্রোলজিস্ট

ওই চিকিৎসককে ঘিরতে চারিদিক থেকে ঘিরতে আইনের শক্ত জাল বুনছেন বারাসত জেলা পুলিশের দুঁদে কর্তারা।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 09:10 PM Apr 03, 2025Updated: 09:19 PM Apr 03, 2025

অর্ণব দাস, বারাসত: কিডনি পাচার চক্র আরও কত দূর বিস্তৃত? তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে, ততই যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে উঠে আসছে! এবার তদন্তে অশোকনগরের কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতার একজন নেফ্রোলজিস্টের নাম হাতে পেলেন তদন্তকারীরা। দাতাদের কাছ থেকে ওই নেফ্রোলজিস্টের নাম জানতে পেরেছিল অশোকনগর থানার পুলিশ। তাঁকে নাগালে পেতে এবার মরিয়া পুলিশ।

Advertisement

তদন্ত সূত্রে খবর, বছর ১০-১২ আগেও সেই নেফ্রোলজিস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশের একটি থানা। কিন্তু আইনের ফাঁকে গলে সেবারের মত পার পেয়ে যান গুণধর সেই চিকিৎসক। এবার কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র পাওয়ায় চারিদিক থেকে ঘিরতে আইনের শক্ত জাল বুনতে শুরু করেছেন বারাসত জেলা পুলিশের দুঁদে কর্তারা। তাই একটি নয়, অশোকনগরের কিডনি বিক্রির আরও দু-তিনটি মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, যার অভিযোগের ভিত্তিতে অশোকনগর থানার পুলিশ কিডনি পাচারের তদন্ত শুরু করেছে, তাঁর স্ত্রীর কিডনি দানের ক্ষেত্রে জেলাস্তর থেকে 'নট রেকমেন্ড' হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলনে পরে তা 'রেকমেন্ড' হয়। একইভাবে সুদখোর শীতলের চাপে একাধিক কিডনি বিক্রেতারও জেলাস্তরে 'নট রেকমেন্ড' পরবর্তীতে সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে 'রেকমেন্ড' হয়েছিল।

বিগত দেড়-দু'বছরে বারাসত মহকুমা এলাকায় কমবেশি ২৫জন কিডনি দান করতে চান বলে জেলাস্তরে আবেদন করেছিলেন। সূত্রের খবর এরমধ্যে প্রায় ১৫টি 'নট রেকমেন্ড' হয়েছিল জেলাস্তর থেকে। এরমধ্যে কটি সর্বোচ্চ স্তরে 'রেকমেন্ড' হয়েছিল, তাতে সেই নেফ্রোলজিস্টেরই ভূমিকা ছিল কি না, তাও ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া জানিয়েছেন, "তদন্ত চলেছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বয়ান যাচাই চলছে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অশোকনগরের কিডনি পাচার চক্রে কলকাতার নেফ্রলজিস্টের যোগ!
  • দাতাদের কাছে নতুন তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা।
  • ওই চিকিৎসককে নাগালে পেতে শক্ত জাল বুনছেন বারাসত জেলা পুলিশের দুঁদে কর্তারা।
Advertisement