নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে সংসদে উঠল রামমন্দির ইস্য়ু। আর এনিয়ে জোর তরজা বাঁধল দুই কক্ষেই। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এই ইস্যুতে বক্তব্য রাখার ব্যটন দুই কক্ষে দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের হাতে তুলে দেন। লোকসভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ আর রাজ্যসভায় জে পি নাড্ডা। দুজনেকর বক্তব্যের মূল কথাই ছিল, কোটি-কোটি হিন্দুর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। ১৫২৮ সাল থেকে শুরু হওয়া লড়াই শেষ হল ২০২৪-এ এসে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ,
শনিবার অধিবেশনের দ্বিতীয় অর্ধে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন দুই কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল সাংসদরা। কংগ্রেসের তরফে বক্তব্য রাখেন গৌরব গগৈ, অধীর চৌধুরীরা। তাঁদের কথায়, “এ দেশে বহু ধর্ম রয়েছে। বহু জাতি রয়েছে। কিন্তু গোটা দেশ চালায় একটা শাস্ত্রই-সংবিধান।” সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতার পাঠ দেন গৌরব গগৈ। একই সুর শোনা যায় কংগ্রেস সাসংদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলাতেও। তাঁর কথায়, “রাম ভক্তির কথা বলে। কিন্তু রামের নামে এখন হানাহানি চলছে দেশে।” লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় বিস্ফোরক দাবি করেন AIMIM -এর প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর দাবি, “বাবরি মসজিদের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে। যেখানে রামমন্দির তৈরি হয়েছে সেখানেই রয়েছে বাবরি মসজিদ। আর সেটা থাকবেও।” ওয়েইসির আরও সংযোজন, আমিও রামকে সম্মান করি। কিন্তু যারা তাঁর নামে খুনোখুনি করে, তাদের সম্মান করি না।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে মিঠুন, এখন কেমন আছেন মহাগুরু?]
লোকসভায় বিরোধীদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, “১৫২৮ থেকে চলে আসা লড়াই ২০২৪ সালে শেষ হল। ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক দিন। শ্রীরামকে ছাড়া ভারতকে কল্পনা করা যায় না। রাম রাজ্য এবার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। রাজ্যসভায় জবাব দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ জেপি নাড্ডা। শাহের সুরেই তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা যুদ্ধের শেষ হল। পুরো বিষয়টির চাক্ষুষ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য় মনে করছি।”