সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে দমবন্ধ দিল্লির। পিছিয়ে নেই দেশের বাকি মেট্রো শহরগুলিও। যার মধ্যে অন্যতম মুম্বই। এই পরিস্থিতিতে কঞ্জুরমার্গের ডাম্পিং গ্রাউন্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন পিটিশন জমা পড়েছে। সেই মামলারই শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এদিন বম্বে হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও বৃহন্মুম্বই পুরসভা। উচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা উন্নয়নের বিরোধী নয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে নির্মাণকাজ চলার সময় যে অবহেলা দেখা যাচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। জনস্বাস্থ্যের মূল্যে উন্নয়নকে মেনে নেওয়া যায় না। নির্মাণকাজের সময় উড়তে থাকা ধুলোই দূষণের সবচেয়ে কারণ বলে এদিন আদালতে দাবি করেন অ্যামিয়াস কিউরি (নিরপেক্ষ বক্তা) দারিয়াস কাম্বাট্টা।
আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নির্দেশিকাকে আইনের সমতুল্য ঘোষণা করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনের জানুয়ারি ও জুন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও নির্মাণস্থলে সেন্সর-ভিত্তিক এয়ার মনিটর স্থাপন করা হয়নি। এই বিষয়ে অবহেলার জন্য কর্মকর্তাদের তাঁদের অবহেলার জন্য তিরস্কার করেছে।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের তরফে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নির্মাণস্থলে নিয়মিত জল ছেটানো, কাজের অংশ ঢেকে রাখা, সিসিটিভি ক্যামেরা, সেন্সর-নির্ভর এয়ার মিটার বসানোর। কিন্তু কিছুই মানা হয়নি। নিয়মকে কার্যতই হেলায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই উচ্চ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, এই নিয়ম স্রেফ কাগুজে নয়। বরং তা আইনের সমতুল্য। উন্নয়নের নামে মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা দেখানো যায় না। এদিন বিএমসি কমিশনার ভূষণ গগরানি এবং এমপিসিবি কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
শুনানির সময় এমপিসিবি সময় চেয়ে নেয় আগামিকালের জন্য। এরপরে আদালতের কার্যক্রম আগামিকাল বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে হাই কোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে এই মামলার শুনানি বড়দিনের ছুটির সময়ও হতে পারে। সেই সঙ্গেই কর্তৃপক্ষের সমস্যার মজবুত সমাধান-সহ পরদিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
