সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে শীতে দূষণমাত্রা রীতিমতো জাতীয় সমস্যার বিষয়। সময় যত যাচ্ছে, ততই সেই সংকট বাড়ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র? শুক্রবার সংসদে এনিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর দিতে পারল না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েই প্রশ্নের জবাব এড়ালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব।
শীতকাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। একেকদিন বাতাসে দূষণের মাত্রা রেকর্ড তৈরি করে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এমন একটি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহল একযোগে সমাধানের বদলে তরজায় মেতে ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র ব্যর্থ। উলটোদিকে, এনিয়ে 'সস্তা রাজনীতি'র অভিযোগ তোলা হয় শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে। এবারের শীতকালীন অধিবেশনেও দিল্লির দূষণ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়। তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, দূষণ কমাতে কেন্দ্র এতদিনে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে সরাসরি জবাব দিতে না পেরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব জানান, বিশ্ব পরিবেশ রক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। তাতে বেশ কিছু নির্দেশিকা আছে। সেসব প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠিয়ে তা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত বায়ুদূষণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা দেন, দূষণ শরীরে কী কী ক্ষতি করে। যা অভিষেকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, রাজ্য সরকারগুলির দায়িত্ব দূষণ কমাতে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জবাবে মোটেই সন্তুষ্ট নয় তৃণমূল।
