সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর থেকে পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় রক্তাক্ত লড়াইয়ের পর থেকেই কার্যত বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)। এহেন পরিস্থিতিতে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে দুই দেশ বলে দাবি চিনা সংবাদমাধ্যমের।
[আরও পড়ুন: অবশেষে দেশে ফিরছেন চিনে আটকে থাকা ১৮ ভারতীয় নাবিক, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’কে উদ্ধৃত করে সীমান্ত থেকে ফৌজ প্রত্যাহারের খবরটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। চিনা সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বুধবার থেকে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নয় দফা আলোচনার পর সেনা সরানোর বিষয়ে একমত হওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রকই সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত খবরটি নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করেছে গ্লোবাল টাইমস।
বিশ্লেষকদের মতে, পূর্ব লাদাখে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও পাহাড়ি জমির জন্য দীর্ঘকাল সেনা মোতায়েন করে রাখা সম্ভব নয়। তাই জওয়ানদের সরাতে রাজি হয়েছে চিন (China)। তবে এটি কমিউনিস্ট দেশটির একটি কৌশলগত পদক্ষেপও হতে পারে। কারণ, অতীতে পিছিয়ে গিয়ে ফের চিনা বাহিনী হামলা চালিয়েছে, এমন নজির রয়েছে। তাই ভারতীয় ফৌজের উচিত গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা। এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে ওঠে চিনা বাহিনী। প্যাংগং হ্রদের (Pangong Tso) ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ঢুকে পড়ে লালফৌজ। তার জবাবে হ্রদটির দক্ষিণ পাড়ে কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পাহাড় চূড়া দখল করে ভারতীয় সেনবাহিনী। দু’পক্ষই সীমান্তে মোতায়েন করে ট্যাংক, রকেট লঞ্চার ও যুদ্ধবিমান। কিন্ত তারপরও রফাসূত্র খুঁজতে আলোচনা চালিয়ে যায় নয়াদিল্লি ও বেজিং। এপর্যন্ত প্রায় নয় দফা আলোচনা হয়েছে দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে।