সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন পৃথক কোনও সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বরং ভারতের ঐক্যের একটুকরো ছবি। বড়দিনের মাঝরাতে কোনও ক্রিসমাস ক্যারল নয়, মুম্বইয়ের শতাব্দীপ্রাচীন গির্জায় সমবেত স্বরে সকলে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। কয়্যার সঙ্গীতে 'জনগণমন' গাওয়ার ভিডিও নিমেষেই ভাইরাল। মুম্বইয়ে সেন্ট থমাস ক্যাথিড্রালে এহেন ব্যতিক্রমী ক্রিসমাস উদযাপনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত শুনে তাঁদের একটাই বক্তব্য, দেশের ঐক্য ধরে রাখাই উৎসবের আসল আনন্দ। মুমম্বইয়ের চার্চে মাঝরাতে প্রার্থনা করতে যাওয়া খ্রিস্টানরা সেই বার্তা দিচ্ছেন।
বড়দিনের ঠিক আগে অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর মাঝরাতে গির্জাগুলিতে 'মিডনাইট মাস' ক্রিসমাস পালনের একটি রীতি। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা চার্চে জড়ো হয়ে সকলে একসঙ্গে প্রার্থনা সঙ্গীতে অংশ নেন। এই সঙ্গীতের জন্য আগে থেকে রীতিমতো অনুশীলন হয় কোনও একজন সঙ্গীতকারের নেতৃত্বে। সাধারণত কয়্যার বা বৃন্দগানের মতোই হয় ক্রিসমাস ক্যারল। গানে থাকে যিশুর জন্মবৃত্তান্ত, খ্রিস্ট ধর্মের যাজকদের কাহিনী। তবে এবছর মুম্বইয়ের ৩০০ বছরের পুরনো সেন্ট থমাস ক্যাথিড্রালে সেসব কিছুই হল না। বরং সঙ্গীতকারের নির্দেশে সেখানে সবাই মিলে গাইলেন, 'জনগণমন অধিনায়ক জয় হে/ ভারত ভাগ্যবিধাতা।' জানা গিয়েছে, এই সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন 'ওয়াইল্ড ভয়েস কয়্যার ইন্ডিয়া'র সদস্যরা।
সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। বড়দিনে চার্চে প্রার্থনা সঙ্গীতের বদলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ায় আসলে জাতীয়তাবাদকেই সর্বাগ্রে রাখার বার্তা উঠে এল। ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টে অনেকে তেমনই লিখছেন। কেউ লিখেছেন, 'দেশ সবার আগে', কারও মন্তব্য, 'এটাই আসল ভারতের ছবি'। কেউ কেউ একে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আদর্শ নিদর্শন হিসেবেও মনে করছেন। এই মুহূর্তে দেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ। তার মাঝে ক্রিসমাস ক্যারলের বদলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া আসলে ঐক্যকেই তুলে ধরে।
