বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। তাই এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করলেন নির্যাতিতা ও তাঁর মা। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, "মূল অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গার অত্যন্ত প্রভাবশালী। সে জেলের বাইরে এলে আমার প্রাণ সংশয় হতে পারে। কারণ এর আগে আমার বাবাকে পুলিশ হেফাজতে খুন করা হয়।" তাই নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহর দ্বারস্ত হতে চান বলে জানান।
এদিকে, বুধবার কুলদীপের জামিনের প্রতিবাদে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে ধর্না দিতে গেলে পুলিশ তাঁদের হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। এরপরেই, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা।
উন্নাওয়ের ঘটনা ফের সামনে চলে আসায় অস্বস্তিতে বিজেপি। দলের কোনও শীর্ষনেতাই নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন না। অমিত শাহ সাক্ষাতের সময় দেননি। এদিন সরাসরি নিজের প্রাণহানীর আশঙ্কা প্রকাশ করলেন উন্নাও গণধর্ষণ মামলার নির্যাতিতা। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত করে তাকে জামিন দেওয়ায় নতুন করে এই মামলা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
নির্যাতিতার দাবি, সেঙ্গারের হাত অনেক লম্বা। তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে পুলিশের হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে, আমাকেও পথ দুর্ঘটনায় মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন ও জেলের বাইরে থাকলে ওর সাঙ্গপাঙ্গরা যে কোনও সময়ে আমার ক্ষতি করতে পারে।' বুধবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতা ও তাঁর মা। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার খাতিরে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে কোনও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
তিনি জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী তাঁকে আইনি লড়াইয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কংগ্রেস শাসিত কোনও রাজ্যে তাঁকে স্থানান্তরের বিষয়টিও তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতা। রাজভর নির্যাতিতার দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদকে উপহাস করায় তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভা বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন তিনি।
