সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মজয়ন্তীতে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে এক বিশাল স্মারক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্বোধন থেকেই গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মোদি। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন তাঁর দল ভারতের উন্নয়নের জন্য কেবল একটি পরিবারকে কৃতিত্ব দেওয়াকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গেছে। তারা এখন অন্যান্য নেতাদেরও স্বীকৃতি দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কংগ্রেসের আমলে বিজেপির প্রবীণ নেতাদের অসম্মান করা হতো। বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের তুলনা করে তিনি বলেন, তাঁর দল সকলকে সম্মান করে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও থেকে শুরু করে ডঃ বিআর আম্বেদকর এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সকলকে যথাযথ কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
২৫ ডিসেম্বর, লখনউ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং ভারতরত্ন মদন মোহন মালব্য এই দুই মহাপুরুষ ভারতের পরিচয়, ঐক্য এবং গর্বকে রক্ষা করেন এবং দেশ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।"
ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের তিন স্তম্ভ—ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁদের স্মৃতিতে তৈরি হল 'রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল'। এই প্রকল্পের প্রধান আকর্ষণ হল ৬৫ ফুট উচ্চতার তিন ব্রোঞ্জ মূর্তি। বিশ্বখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার এবং মন্টু রাম আর্ট ক্রিয়েশন এই মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন। রাতের আলোকসজ্জা ও প্রোজেকশন ম্যাপিংয়ে মূর্তিগুলো যেন জীবন্ত রূপ নিয়েছে। এছাড়া চত্বরের জাদুঘরে ম্যুরাল আর্টের মাধ্যমে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রাপথ ফুটিয়ে তোলা হয়। জাদুঘরের আঙিনায় বসানো হয়েছে 'ভারতমাতা'-র মূর্তিও। এই চত্বরে যোগ কেন্দ্র, ধ্যান কেন্দ্র এবং ৩০০০ আসন বিশিষ্ট একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার রয়েছে।
লখনউয়ের বসন্তকুঞ্জ এলাকায় পদ্মফুলের আদলে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ চত্বরটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
