সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের এক শিল্পী নির্মিত কন্নড় ধাঁচের এক রামমূর্তি বসবে অযোধ্যার রামমন্দিরে। মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। আগামী সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর মূর্তিটি স্থাপনের দিন সাধুসন্ত ও ভক্তদের সমাগমে রামমন্দিরে তৈরি হবে এক অনন্য মুহূর্ত।
জানা গিয়েছে, মূর্তিতে থাকবে সোনা, রুপো ও রত্ন। দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে নির্মিত হয়েছে এটি। শিল্পীর নাম জয়শ্রী ফড়িশ। তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। বহু মন্দিরেই বিগ্রহ দান করে থাকেন তিনি। এবার সেই জয়শ্রীই রামমন্দিরে দান করছেন মহার্ঘ রামবিগ্রহটি। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি ড. অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতীয় তাঞ্জোর ধাঁচের রামমূর্তিটি ৪ কুইন্টাল ওজনের। দৈর্ঘ্যে ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি।
তাঁর কথায়, ''বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা দানশীল জয়শ্রী ফড়িশ একজন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। তিনি দেশের বিভিন্ন মন্দিরে তাঁর তৈরি শিল্পকর্ম দান করেছেন। এবার অযোধ্যা রাম মন্দিরের জন্যও একটি মূর্তি দান করেছেন তিনি। মূর্তিটি ২৯ ডিসেম্বর উন্মোচন করা হবে বলে আমরা এখনও সেটি ভালোভাবে দেখার সুযোগ পাইনি।''
তিনি আরও জানান, বিগ্রহ স্থাপনের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং ২৯ ডিসেম্বরের শুভক্ষণে মন্দিরের প্রাঙ্গণে প্রতিমাটি স্থাপন করা হবে। সন্ত তুলসিদাস মন্দিরের কাছে অঙ্গদ টিলার দিকে অবস্থিত থাকবে বিগ্রহটি। ড. মিশ্র জানাচ্ছেন, বিশ্বাস ও ভক্তির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে নতুন মূর্তিটি। অর্থাৎ অযোধ্যা আবারও এই বার্তা দিতে চলেছে যে, ভগবান রামের এই নগরী শুধু একটি বিশ্বাসের কেন্দ্র মাত্রই নয়। সেই সঙ্গেই ভারতের শাশ্বত সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক প্রাণবন্ত প্রতীকও।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন তিনি। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হিন্দু মন্দিরের মূল নকশা ১৯৮৮ সালে আমেদাবাদের আশিস সোমপুরার তৈরি করেন। ঐতিহ্যবাহী নাগারার আদলে (উত্তর ভারতের মন্দির শৈলী) তৈরি করা হয় অযোধ্যার রামমন্দির।
