সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে দড়ি টানাটানি অবশেষে মিটল কর্নাটকে! দীর্ঘ ডামাডোলের পর অবশেষে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার এবার হতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শিবকুমার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হোসেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হোসেনের দাবি, 'আমি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত আগামী ৬ জানুয়ারি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন শিবকুমার।' তাঁর এহেন দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কর্নাটকের রামনগরের বিধায়ক হোসেন বলেন, "সিদ্দারামাইয়ার উচিত মুখ্যমন্ত্রী পদ শিবকুমারকে ছেড়ে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত শিবকুমারকে।" এরপরই তিনি বলেন, "আমি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত আগামী ৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবকুমার।" এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের তরফে পালটা প্রশ্ন করা হয়, ৬ জানুয়ারিতেই কেন? উত্তরে তিনি বলেন, "আমি জানি না। এটা একটা সংখ্যা মাত্র ৬ না হয়ে ৯ জানুয়ারিও হতে পারত বা ২ জানুয়ারি।" তবে ৬ জানুয়ারিতেই শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন শিবকুমারের কট্টর সমর্থক বিধায়ক ইকবাল হোসেন।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। শোনা যায়, সেই সময় ঠিক হয়েছিল দুই নেতা আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। সেই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের। এদিকে সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে রাজি নন। যা নিয়ে বেঁধেছে কোন্দল। সম্প্রতি হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে দুই নেতা শান্ত হন এবং একে অপরের বাড়ি প্রাতঃরাশ খেয়ে বার্তা দেন দলে সব ঠিকই রয়েছে। এবার কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যে নতুন করে শোরগোল শুরু হল কর্নাটকে।
