বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনের একবছর বাকি। তাই তৃণমূল বা বামেদের সঙ্গে জোটের কথা না ভেবে রাজ্যের ২৯৪ আসনেই লড়াই করার মতো সংগঠন গড়ে তোলার নির্দেশ দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী ও কে সি বেনুগোপাল। আর জি করের নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে শীঘ্রই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে একজন কলকাতায় আসবেন বলে প্রদেশ নেতৃত্বকে জানিয়েছে হাইকমান্ড।

সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন খাড়গে ও রাহুলরা। তবে সাংগাঠনিকভাবে দুর্বল রাজ্যগুলির ওপর বেশি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইসিসি। এদিনের বৈঠকে হাজির প্রদেশ নেতৃত্বের বেশিরভাগ প্রতিনিধি একলা চলার পক্ষে সওয়াল করেন। ২৯৪ আসনেই যাতে কংগ্রেস প্রার্থী দেয় খাড়গে ও রাহুলের কাছে আবেদন জানান প্রতিনিধিরা। তবে তাঁদের আবেদনে বিশেষ সাড়া না দিয়ে বরং রাজ্য জুড়ে আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার নির্দেশ দেয় হাইকমান্ড। সংসদে কি হচ্ছে সেদিকে না তাকিয়ে দলের স্বার্থে আগে কোন পথ হাঁটলে কংগ্রেস শক্তিশালী হতে পারে তা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে বলে সূত্রের খবর।
নির্বাচনের কারণে গত দু’বছর বঙ্গের সংগঠনে নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এখন থেকে ঘনঘন শীর্ষনেতৃত্ব বঙ্গে আসবেন বলে আশ্বাস মিলেছে বলে জানান প্রদেশ নেতৃত্ব। তবে এদিনের বৈঠকেও প্রদেশের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে আসে। অধীর চৌধুরি নিজে বৈঠকে হাজির থাকলেও তার ঘনিষ্ঠদের কেউই যোগ দেননি। সেই ব্যাখ্যা হাইকমান্ডের সামনে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতিকে দিতে হয়। অন্যদিকে, প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, সুমন রায়চোধুরী বা পূজা রায়চৌধুরীরা হাজির ছিলেন।